ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
অবশেষে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের করে দেয়া কমিটির ওপর আস্থা রেখে ক্লাসে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে বাদ দেয়ার দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা। তবে অধিভুক্তি বাতিলের অন্যান্য কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন। এর আগে গত বুধবার সাত কলেজ সম্পর্কিত সমস্যা ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে’ নিরসনে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সুপারিশ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র শাকিল মিয়া ১১ সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান। একই সঙ্গে তাদের অন্যান্য কর্মসূচিও চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (রাষ্ট্রপতি) আব্দুল হামিদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। তারা সামনের দিনে কোনো ধরনের নির্যাতন করলে তার শক্ত জবাব দেবেন বলেও ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির বিষয়ে আন্দোলনের মুখপাত্র শাকিল মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে ১৫ দিন সময় নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাই। তবে আমরা প্রশাসনের কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করবো। তাই ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে নিচ্ছি। তিনি বলেন, সাত কলেজের অধিভুক্তি ছিল একটি অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। যে কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। ছাত্রফ্রন্টের তিন প্রস্তাবনা এদিকে অধিভুক্ত কলেজের সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ রানা এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ৭ কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ঢাবি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করা, স্থায়ী সমাধান হিসেবে ৭ কলেজের মধ্যে প্রধান কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এবং সকল প্রকার বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করে ঢাবির নিয়মিত ছাত্রদের শিক্ষার মান উন্নত করা।