কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘মোক একটা স্লিপ দেরে বাবা’

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা আর ভাঙনে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। হাজারো মানুষের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্রের পাড়। উপজেলার মসজিদের পাড়ের রোগাক্রান্ত শরীর, বয়সের ভারে চলতেও পারেন না ঠিকমতো নাম তার নূর আসমা (৮০)। এসেছিলেন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ত্রাণ বিতরণ স্থানে ভেবেছিলেন বড় স্যারেরা আসবেন তাকে কিছু দেবেন অপেক্ষা করেছিলেন বিতরণ শেষ পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা কিন্তু অবশেষে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। কথা হয় তার সঙ্গে কয়েক বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। জমি বলতে শুধু বাড়িভিটা ঘরে কোমর পানি, উঠানে বুকপানি এরপরও এসেছিলেন কষ্ট করে কিছু পাওয়ার আশায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাবারে মোক একটা স্লিপ নিয়ে দেতো। এ সময় নাই শব্দ শুনে তার চোখ ছল ছল করছিল আর বলছিলেন বড় বড় স্যারেরা আসবেন শুনে আইছিনু কিন্তু তারাও মোক দিলে না।’ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা ফায়ার স্টেশন চত্বরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম ত্রাণ বিতরণের চলমান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। শুধু নূর আসমা নন, এ রকম শ’ শ’ অসহায় বন্যার্ত মানুষ এসেছিলেন কিন্তু না পেয়ে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে ভারাক্রান্ত মনে। চলমান এই বন্যা হাজার হাজার পরিবারকে দিয়েছে অসহায় করে। শ’ শ’ মানুষ হয়ে পড়েছেন নিঃস্ব। নেই থাকার জায়গা, নেই ঘর তোলার আসবাবপত্র। হয়ে পড়েছেন পথের ফকির। পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বউ বাচ্চাকে অন্যের জায়গায় খোলা আকাশের নিচে রেখেই আয়-রোজগারের আশায় পাড়ি দিয়েছেন অজানার উদ্দেশে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সবাই খালি চরে যায় কিন্তু সদরের আশপাশে শ’ শ’ গ্রাম এখন পানিবন্দি থাকলেও তাদের খোঁজ নিতে কেউ নেই। চলমান ভাঙন ও বন্যাকে কেন্দ্র করে উপজেলা চরাঞ্চলে সরকারি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ (রিলিফ) বিতরণ শুরু হলেও রয়েছে অনিয়ম আর স্বজনপ্রাীতির অভিযোগ। আবার অনেকে ত্রাণের চাল পেয়েও তাঁদের চোখের পানি থামছে না কারণ থাকার জায়গা নেই। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর পুষ্টিহীন শরীর তাদের কর্মক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছে।  রোগে তাদের শরীর আরো বেশি বয়স্ক করেছে। এদের প্রত্যেকের সন্তান বড় হয়ে আলাদা সংসার করছে। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খোঁজ তারা রাখে না। বাধ্য হয়ে ভিক্ষা, অন্যের বাড়ি অথবা জমিতে কাজ করেই তাদের একমুঠ ভাতের জোগাড় করতে হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্‌ মো. শামসুজ্জোহা বলেন বর্তমানে আমরা তাদের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পেলে তাদেরকেও সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন