আইএনএফ চুক্তি রক্ষার সময় ফুরিয়ে আসছে রাশিয়ার: ন্যাটো প্রধান

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

রাশিয়াকে মধ্যম-পাল্লার পারমাণবিক শক্তি চুক্তি (আইএনএফ) রক্ষা করতে আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাপরিচালক জেন্স স্টল্টেনবার্গ। তিনি বলেন, চুক্তিটি রক্ষার সময় ফুরিয়ে আসছে রাশিয়ার। আগামী ২ আগস্টের মধ্যে রাশিয়া যদি এখন চুক্তিটি রক্ষা করতে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সুবেবিচিত, প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেবে ন্যাটো। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টল্টেনবার্গ বলেন, আমাদের রুশ ক্ষেপণাস্ত্রপূর্ণ একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় আইএনএফ চুক্তি। চুক্তি অনুসারে, তাদের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সব ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রসহ স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সেটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া। পাশাপাশি তারাও চুক্তিটি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। জানায়, তারা নতুন ধরনের সব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে।সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্টল্টেনবার্গ বলেন, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনকারী রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অত্যন্ত  কার্যকরী, দ্রুত ও শনাক্ত করা কঠিন। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেগুলো ইউরোপীয় শহরে আঘাত হানতে সক্ষম। এটা খুবই গুরুতর বিষয়। কয়েক দশক ধরে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি প্রস্তরের কাজ করেছে আইএনএফ চুক্তি। আর এখন আমরা এর সমাপ্তি দেখছি।স্টল্টেনবার্গ জানান, বর্তমানে তাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল রাশিয়াকে পুনরায় চুক্তিটি মেনে চলতে রাজি করানো। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, রাশিয়া সম্ভবত চুক্তিটি আর মানতে চায় না। তাই তাদের আইএনএফ চুক্তিহীন ও রুশ ক্ষেপণাস্ত্রপূর্ণ একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ইউরোপে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই ন্যাটোর। তবে রাশিয়া যদি ২ আগস্টের মধ্যে আইএনএফ চুক্তিতে ফিরে না আসে তাহলে তারা সুবেবিচিত, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেবে ন্যাটো জোট।ন্যাটো প্রধান বলেন, বিবেচিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রচলিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন, মোতায়েনের জন্য সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রাখা, নতুন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। তবে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে রাশিয়াকে বেধে দেয়া সময় শেষ হওয়ার পর।এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্কের কাছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করেছে রাশিয়া। এ বিষয়ে স্টল্টেনবার্গ বলেন, সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে তুরস্ক। এতে দুই ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তিনি বলেন, এটা বেশ গুরুতর একটি বিষয়। কেননা, এতে দুই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও