কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘নির্মাতাদের নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে হবে’

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

চলচ্চিত্র এবং টিভি নাটক দুই মাধ্যমেই এখনো নিয়মিত অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান। বরাবরই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করছেন এ অভিনেতা। গেল ঈদে চলতি সময়ের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী স্পশির্য়াকে সঙ্গে নিয়ে দর্শকের সামনে আসেন তিনি। তারা দুজন জুটিবদ্ধ হয়ে ‘আবার বসন্ত’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মাঝে-মধ্যেই তার চেয়ে বেশ কম বয়সী অভিনেত্রীদের বিপরীতে অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেন তারিক আনাম খান। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেন ‘ওয়াটার’ শিরোনামের একটি নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন সুমাইয়া শিমু।  ক্যারিয়ারের এই সময়ে পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভালো অভিনয় করছে। ‘আবার বসন্ত’ ছবিতে স্পর্শিয়ার সঙ্গে অভিনয় বেশ এনজয় করেছি। আমরা দুজন দুই প্রজন্মের সেটি বুঝতেই পারিনি। আমি একজন পেশাদার অভিনেতা। গল্পের প্রয়োজনে যে কারো সঙ্গে অভিনয় করতে চাই। শিমুর সঙ্গেও নাটকটিতে অভিনয় করতে বেশ ভালো লেগেছে। দর্শক ঈদে এই নাটকে আমাদের রসায়নে বিনোদন পাবে। তারিক আনাম খান অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র এখন মুক্তির অপেক্ষায়। এগুলো হলো নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারা সুভাস’ ও রাজা চন্দের ‘বেপরোয়া’। ছবি দুটি এ বছর মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। এদিকে নতুন চলচ্চিত্রের খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা দুটি ছবির বাইরে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘গাঙচিল’ নামের একটি ছবি আমার হাতে আছে। ছবিটি আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ হচ্ছে। আশা করছি এই ছবিতে ভালো কিছু হবে। বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র নিয়ে দর্শকের কাছ থেকে নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়। ভালো ছবি নির্মাণের সংখ্যাও কমে গেছে। আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরানোর জন্য কি করণীয় বলে মনে করেন এই অভিনেতা? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্যি এখন ভালো ছবি নির্মাণের সংখ্যা কমে গেছে। শুদু ঈদের সময় ভালো বাজেট ও ভালো ছবি মুক্তি দিলে চলচ্চিত্র টিকবে না। বছরজুড়েই ভালো ছবি মুক্তি দিতে হবে। তাহলে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকের আগ্রহ থাকবে। ঢাকাই চলচ্চিত্রে গল্প সংকট ও নকল ছবির কথা প্রায়ই শোনা যায়। এ  প্রসঙ্গে তারিক আনাম খানের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। কোথায় কি হচ্ছে তা সহজেই তারা জেনে যায়। যে জিনিস দর্শক একবার দেখে দ্বিতীয়বার তা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় স্বাভাবিকভাবেই। নানা ভাষার ছবির নকল করে সিনেমা বানানো মানে প্রযোজকদের অর্থ নষ্ট করা। আমি আগেই বলেছি দর্শক বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র এখন দেখে। দর্শকের দেখা জিনিস নতুন করে নিয়ে আসার কোনো মানে হয় না। নির্মাতাদের নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের গল্পের অভাব নেই। তবে বিভিন্ন গল্প নিয়ে সুন্দর ভাবে কাজ করার নির্মাতার অভাব আছে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি নাটক নিয়েও কথা বলেন এই শক্তিমান অভিনেতা। তার ভাষ্য, এই সময়ের নাটকে বাবা-মা থেকে শুরু করে অনেক চরিত্র হারিয়ে গেছে। ভারতীয় সিরিয়াল দর্শক কেন দেখে? একটা পরিবারে ভালো-মন্দ নানা ধরনের মানুষ থাকে। তাদের সিরিয়ালে সেই চরিত্রগুলো দেখানো হয়। আমাদের নাটকে দর্শক ফেরাতে হলে এই বিষয়গুলো নিয়ে নির্মাতাদের ভাবতে হবে। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য পরমর্শ কি? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিনয়কে মনে-প্রাণে ভালোবাসতে হবে। যার মনে এ ভালোবাসা নেই দর্শক তাকে মনে রাখে না। তাকে কয়েক দিনের তারকাখ্যাতি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও