রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ২৫ পরিবার মানবিক জীবন-যাপন করছে। পরিবার গুলোর অভিযোগ প্রশাসনের সহযোগীতার অভাবে পরিবার গুলোর এ দুরবস্থা। এমনকি প্রশাসন থেকে জানানো হয়, তোমরা হাঁস, মুরগীর মত বেঁধে ছোট ছেলেয়েদের বড় করো।পরিবার গুলো জানায়, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দ: কোলকোন্দ গ্রামের মটের পাড় বাঁধের ধারে তারা বসবাস করে আসছিল। বাঁধ সংস্কার করায় তাদের বাড়ি-ঘর সড়িয়ে দেয়া হয়। বসবাসের জায়গা না থাকায় ওই এলাকায় বাঁধের ধারের একটু দুরে দীপের মত এক খন্ড জায়গায় পরিবারগুলো চাপাচাপি করে বাড়ি পূর্ণ স্থাপন করে বসবাস শুরু করে। তাদের বসবাসকৃত জায়গা টুকুর পিছঁনে নিচু জলাশয় ও সামনে একটা পুকুরের মত বড় গর্ত এবং দক্ষিণ দিকে জলাশয় আর উত্তর দিকে রাস্তা। উত্তর দিকের ৩/৪ বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা উঠে চলাচল করতে পারলেও বাকী বাড়ির লোকজন বের হওয়ার মত কোন রাস্তা বা জায়গা নাই। ফলে তারা এক বাড়ির ভিতর দিয়ে আরেক বাড়ির লোকজন কোন রকম চলাচল করছে।সরজমিন দেখা যায় আব্দুল হামিদ, মোজাম্মেল, মতিয়ার রহমান, লাল মিয়া, ঋরনা বেগম, দীপা বেগম, রনজিনা বেগম, মমতাজ, নিলুফা, সুজা মিয়া, দুলাল, রাবেয়া, মনোয়ার, বাবু মিয়া, সোয়াদ, রোকছানা জানান, বাঁধের ধারে বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলাম। বাঁধ সংস্কার করায় আমাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করে। নিরুপায় হয়ে সামান্য একটু জায়গাতে ঠেলাঠেলি করে বাড়ি করে ২৫ পরিবার বসবাস শুরু করে। কিন্তু বসবাসকৃত জায়গাটাও নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলে বাড়িতে পানি উঠে। তাছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার মত কোন জায়গা না থাকায় কষ্টে আছি। ছোট ছেলেমেয়ে ও গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী নিয়ে পড়েছি বিপাকে। বাড়ির সবদিকে নিচু জলাশয় থাকায় বাড়ি করার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ৩টি শিশু পানিতে পড়ে ছিলো। এমন মানবিক জীবন থেকে পরিত্রাণ পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যর সাথে আলোচনা করে বাড়ির সামনে ও বাঁেধর ধারের গভীর গর্তটি ভরাটের উদ্যোগ নেই। ওই গর্তটি ভরাট হলে আমাদের কষ্ট কেটে যাবে চলাচলে কোন সমস্যা হবেনা। সেজন্য একজন জমির মালিকের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের টাকা খরচ করে সেখান থেকে মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করি। কিন্তু জনৈক দু’জন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মেশিন দ্বারা মাটি উত্তোলনের অপরাধে ওসির কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদের মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দিবে। আমরা তাদের টাকা না দেওয়ায় সামান্য মাটি না কাটতেই পুলিশ এসে মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে বলে, তোমরা হাঁস, মুরগীর মত বেঁধে ছোট ছেলেয়েদের বড় করো। তারা আরো বলেন, স্তিস্তা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে মাটি বালু উত্তোলন করে রাস্তা ঘাটের কাজ করছে, কেউ বিক্রি করছে সেখানে বন্ধ না করে আমরা বসবাসের জন্য মাটি কাটলে অপরাধ যদি হয় তাহলে মানবিকতা কোথায় থাকলো। কে দেখবে আমাদের মাবেতর জীবন যাপনের কষ্ট।আমরা প্রশাসনের কাছে সরকারিভাবে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করে শান্তিতে বসবাসের দাবি করছি। ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা এ গুলো নাগরিকের নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্র তথা সরকারের। এ কথা বিবেচনা করে মানুষ গুলোর কষ্টের কথা ভেবে মাটি ভরাটের কথা বলে ছিলাম। আইনে মেশিন মাটি উত্তোলন অপরাধ তাই প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। মানিক বিবেচনায় তাদের কষ্ট লাঘবে প্রশাসনের সহযোগী প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.