ক্রিকেটে ক্যাচ মিসকে বলা হয় খেলারই অংশ। আবার ‘ক্যাচ মিস যে ম্যাচ মিস’ এই কথাটিও সত্য। সেটা আরো বেশি প্রকট হয় যখন ক্যাচ ফসকায় এমন কোনো ব্যাটসম্যানের যে একাই সব তছনছ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কাল এজবাস্টনে তামিম ইকবাল যার ক্যাচ ছাড়লেন, সেই রোহিত শর্মার ওয়ানডেতেই আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। তামিমের হাতে জীবন পাওয়া রোহিত আর ডাবল করতে পারেননি। ৯ রানে জীবন পেয়ে আউট হওয়ার আগে যোগ করেছেন ৯৫ রানে। তামিমের ভুল শেষ পর্যন্ত পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন মোস্তাফিজ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতের সংগ্রহটা আয়ত্তের মধ্যেই রাখেন বাংলাদেশের এ ‘কাটার মাস্টার’। বিনা উইকেটে ১৮০ রান করা ভারত থামে ৩১৪/৯-এ। বিশ্বকাপে এটি মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম পাঁচ উইকেট।দলের শুরুটাই ছিল হতাশামাখা। এমন এক ম্যাচে টসে জয় পাওয়াটা বেশি দরকার ছিল। এবং দরকার ছিল টসে জিতে ব্যাট করা। মাশরাফি টসে হেরে গেলেন, ফলে দুটোর কোনোটাই হলো না। ব্যাট করতে নামলো ভারত। টসে হারার দুঃখটা ভুলিয়ে দেয়ার সুযোগ এনে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পঞ্চম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। ডিপ মিড উইকেটে থাকা তামিম ইকবাল সহজ সে ক্যাচ হাতে জমাতেই পারলেন না। ৯ রানে নতুন জীবন পেলেন বিশ্বকাপে এর আগেই তিন সেঞ্চুরি করা রোহিত। গতকালও সেঞ্চুরি পেলেন রোহিত। আগের ম্যাচে দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে তার ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন জো রুট। সেঞ্চুরির আগে আর থামানো যায়নি রোহিতকে। এদিন এজবাস্টনের জীবন পেয়ে দুর্বার হয়ে ওঠেন রোহিত। ৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই ভারতীয় ওপেনার। সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৯০ বলে। টুর্নামেন্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি করতে মারেন ৬ চার আর ৫ ছক্কা। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানকে ১০৪ রানে ফেরান অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার। সৌম্যের বলে পেটাতে গিয়ে মিড অফে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার রাহুলও। ৭৭ রানে তাকে মুশফিকের ক্যাচ বানান রুবেল হোসেন। ম্যাচে ফেরার সুযোগ বাড়ে বাংলাদেশের। তবে দ্রুতই ৪২ রানের জুটি গড়েন ঋষভ পান্ত ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষের ১০ ওভারের ঝড় তোলার মঞ্চটা তৈরি করছিল ভারত। তবে ৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। প্রথমে কোহলিকে ডিপে ক্যাচ বানান কাটার মাস্টার। এক বল বিরতিতে সৌম্য সরকারের অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হন পান্ডিয়া। সাকিব একমাত্র শিকারে পান্তকে ফেরানোর পর মোস্তাফিজ তৃতীয় শিকার হিসেবে তুলে নেন দিনেশ কার্তিককেও। মোস্তাফিজের আবার জোড়া শিকার ইনিংসের শেষ ওভারে। ওই ওভারেই পড়েছে তিন উইকেট। নিজে দুটি শিকার করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন, আরেকটি রান আউট। তামিমের ক্যাচ মিস মাশরাফি, রুবেল, সাইফুদ্দিনের সহায়তা না পেলেও মোস্তাফিজের ৫ উইকেট শিকার শেষে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ভারতকে পায় নাগালের মধ্যে। এ বিশ্বকাপেই ৩২১ রান তাড়া করে জয় পায় বাংলাদেশ। এ বিশ্বকাপে তিন শ’ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে একমাত্র বাংলাদেশই জিতেছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.