মাদারীপুরের কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ১১:৪৯

মাদারীপুরের সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র অহিদুজ্জামান হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অভিযুক্ত একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে লেলিন, শাহাবুদ্দিন, রেজাউল ব্যাপারি ও এম এম ফয়সাল আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুইমাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার আরেক আসামি মহিউদ্দিন দর্জিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।এর আগে গত ১৬ই জুন মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলে রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে কমনরুম সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হন অহিদুজ্জামান। সাধারণত বন্ধু মহিউদ্দিন, লেলিন, শাহাবুদ্দিন ও ফয়সালের সঙ্গে চলাফেরা করতেন তিনি। একসময় লেলিনের চাচা রেজাউল মহিউদ্দিনকে ইতালিতে চাকরি দেন। মহিউদ্দিন ইতালিতে  রেজাউলের সঙ্গেই থাকতেন। পরবর্তীতে অহিদুজ্জামান ইতালি যাওয়ার জন্য মহিউদ্দিন ও  রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মহিউদ্দিনের কথা মতো অহিদুজ্জামান  রেজাউলকে ১০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু অহিদুজ্জামানকে ইতালি নিতে না পেরে মহিউদ্দিন ও রেজাউল বলেন যে টাকা ফেরত দেবেন।অভিযোগে আরও বলা হয়, অহিদুজ্জামান এলাকায় তিথি নামে একজনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে জানতে পারেন যে তিথিকে লেলিনের চাচা রেজাউল ভালোবাসতেন। এর মধ্যে প্রেমিকাকে না পেয়ে রেজাউল অহিদুজ্জামানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন, যেখানে মহিউদ্দিনও যুক্ত হন।পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের দিকে সাভারে যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মহিউদ্দিন ও রেজাউল পরিকল্পনা অনুযায়ী মতে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার কাশিমপুরের চর দিঘলিয়া শাহ বেপারীর ভুট্টা ক্ষেতে শ্বাসরোধ করে অহিদুজ্জামানকে হত্যা করেন। এসময় লেলিন, শাহাবুদ্দিন, সেলিম ও ফয়সালও এ কাজে যুক্ত হন। ওই ঘটনায় সিংগাইর থানার উপপরিদর্শক আ. ছালাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।আসামি লেনিন বেপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি ও সেলিম  বিভিন্ন সময়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। পরের বছরের ২২শে নভেম্বর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মদন মোহন বনিক ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে