কুড়িগ্রাম আদালতে প্রক্সি হাজিরা দিতে এসে জেলহাজতে
কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুয়া আসামি হাজিরার ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম শ্রেণির ক্ষমতাপ্রাপ্ত) পবন চন্দ্র বর্মন মোছা. ফেলানী এবং আইনজীবী সহকারী (মোহরার) মো. বজলুর রহমান রেজি. নম্বর-২১২ এর বিরুদ্ধে মিসকেস রুজু করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে মিসকেস নং-১/১৯ (রৌ) এর আদেশে ফেলানীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং পলাতক মোহরার বজলুর রহমান বাবলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) পবন চন্দ্র বর্মনের কোর্টে এ ঘটনা ঘটে।আদালত সূত্রে জানা যায়, রৌমারী থানার জিআর মামলা নং-১০৪/১৯ (রৌ) মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবু সাইদ, মুরাদ হোসেন, মামুন, মনির, মুন্না এবং মোছা. নুরিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষের কোর্ট সিএসআই মো. শাহীন জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচারক মামলার নথি এবং আসামিদের জামিনের আবেদন পর্যালোচনা করে ৫নং আসামি মুন্না ও ৬নং আসামি মোছা. নুরিমা বেগমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সিডব্লিউ মূলে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় জামিন মঞ্জুর করা হয়। এ আদেশ ঘোষণা করা মাত্র আদালতের কাস্টডিতে থাকা ৬নং আসামি মোছা. নুরিমা বেগম উচ্চস্বরে কান্নাকাটি শুরু করেন। বিচারক পবন চন্দ্র বর্মন কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলে- সে স্বীকার করে অর্থের লোভে আসামীর প্রক্সি দিয়েছেন তিনি। তার আসল নাম মোছা. ফেলানী। স্বামী মৃত মালেক, সাং-ভোগডাঙ্গা (মাদুপাড়া), থানা ও জেলা কুড়িগ্রাম। আইনজীবী সহকারী মো. বজলুর রহমান (বাবলু), পিতা-মো. আবু জাফর আলী, সাং-জিগ্নিকান্দি, থানা রৌমারী, জেলা- কুড়িগ্রাম তাকে (ফেলানী) মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে আদালতের কাস্টডিতে দাঁড়াতে বলেন। বলেন-৫/৭ মিনিট দাঁড়ালেই তার কাজ শেষ। কিন্তু বিধিবাম। বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করায় ওই মোহরার-এর জালিয়াতি ফাঁস হয়ে যায়। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ রকম জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিচার বিভাগ এটি আমাদের প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির পূর্ণ সমর্থন থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের যা করণীয় তা আমরা করবো।