হবিগঞ্জ শহর যেন ভাসমান জলাশয়

মানবজমিন প্রকাশিত: ০২ জুন ২০১৯, ০০:০০

শনিবার ভোর রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। শহরের অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। দেখে যেন মনে হয় হবিগঞ্জ শহর একটা ভাসমান জলাশয়। হবিগঞ্জ শহরের এ চিত্র এখন নিত্য দিনের। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। আর অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। প্রতিতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকাণ্ডে। গতকালের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শহরের পিটিআই এলাকা, সার্কিট হাউজ রোড, ফায়ার সার্ভিস রোড, শায়েস্তানগর, কামার পট্টি, কালীবাড়ী ক্রস রোড, শ্যামলী রোডসহ অধিকাংশ সড়ক। তলিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, পানি উন্নয়ন ভবন, সার্কিট হাউজ, জেলা সদর হাসপাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনের সড়ক। এতে যান চলাচলসহ সরকারি কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরজমিন হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পর শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায় পনি উন্নয়ন বোর্ড ডুবে আছে পানির নিচে। এছাড়া পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে হাঁটু পানি। সার্কিট হাউজের সামনের হাঁটু পানিতে গাড়ি ধোঁয়ার কাজ করছেন কয়েকজন ড্রাইভার। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান মানবজমিনকে জানান, শহরের তিন দিকে খোয়াই নদী রয়েছে। এই সুবাদে খোয়াই নদী দিয়ে শহরের অতি বৃষ্টির পানি অপসারণের সুযোগ রয়েছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থপানি খোয়াই নদীতে নামতে পারছে না। আমরা হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে শায়েস্তানগর এলাকার ব্যবসায়ী আলী নেওয়াজ জানান, শহরের জলাবদ্ধতা এখন একটি বড় সমস্যা। বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসা বণিজ্যসহ জন চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এ থেকে হবিগঞ্জবাসী মুক্তি চায়। শহরের বসবাসরত নাগরিক, রাজনীতিক ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই ওয়াটার কিপার  তোফাজ্জল সোহেল জানান, আমরা বলতে বলতে একবারে ক্লান্ত। কেউ কথা শুনে না। শহরের পুরাতন খোয়াই নদী দখল ও ভরাটের কারণেই এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এটি ধীরে ধীরে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আমরা খোয়াই নদী দখল ও দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করেছি। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। হবিগঞ্জের পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাশ জানান,  হবিগঞ্জের জলাবদ্ধতা সাময়িক সময়ের। টানা বৃষ্টির পর কয়েক ঘণ্টা জলাবদ্ধতা থাকে। এরপর পানি ধীরে ধীরে রাস্তা থেকে সরে যায়। তিনি জানান, শহরের ড্রেনগুলোতে ময়লা আবর্জনা ফেলে নাগরিকরা পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এ সমস্যা দূর করতে হলে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও