কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চমেকের ঝুঁকিপূর্ণ এসি অপসারণ

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অগ্নিঝুঁকির মতো ‘বৈদ্যুতিক বোমা’ খ্যাত ঝুঁকিপূর্ণ ৭০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) গত তিন দিনে এসব এসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক এন্ড মেইনটেনেন্স বিভাগ-১) এস এম ময়নুল হক বুধবার বিকেলে সর্বশেষ এ তথ্য জানান।  পাশাপাশি চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইনের সার্ভিসিং কাজও শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গত রোববার  দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত চমেক হাসপাতালে শতাধিক এসি বৈদ্যুতিক বোমা শিরোনামে প্রতিবেদন গণপূর্ত বিভাগ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর সোমবার দুপুর থেকে বৈদ্যুতিক বোমা খ্যাত অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করা হয়। তিনি জানান, সোমবার প্রথম দিনে ৩০টি এবং মঙ্গলবার ৩০টি এবং বুধবার আরো ১০টি এসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে এই ৮৭০টি এসি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বাকি সব এসির সংযোগও ক্রমান্বয়ে বিচ্ছিন্ন করা হবে। প্রসঙ্গত, চমেক হাসপাতালে প্রায় ৬০০ এসি রয়েছে। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের লাগানো এসির সংখ্যা প্রায় ৪০০। আর বাকি এসিগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক এসি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ডোনেশন হিসেবে পাওয়া। এছাড়া হাসপাতাল প্রশাসন নিজ উদ্যোগেও কিছু সংখ্যক এসি স্থাপন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। সবমিলিয়ে প্রায় ৬০০ এসির মধ্যে প্রায় শতাধিক এসি ব্যবহার অনুপযোগী। যা জোড়া-তালি দিয়ে চালু রাখা হয়েছে। জোড়া-তালি দিয়ে চালু রাখা এসব এসি থেকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে হাসপাতালটি। সম্প্রতি দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটে, তাও এসির শর্ট সার্কিট থেকে। তাই এসব এসি থেকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকির কথা বলেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস।গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক এন্ড মেইনটেনেন্স বিভাগ-১) এস এম ময়নুল হক বলেন, সংস্কার কাজ আমাদের সবসময়ই চলমান থাকে। কিন্তু এখন জরুরি ভিত্তিতে এসিগুলোর সার্ভিসিং করা হচ্ছে। যেসব এসি সংস্কারের মাধ্যমে সারানো যোগ্য, সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। আর যেসব এসি সারানো যোগ্য নয়, সেগুলোর সংযোগ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এই কয়দিনে ৭০টি এসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। একই সাথে বিদ্যুতের ক্যাবল, সকেট, সুইচ, সার্কিট ব্রেকার প্রভৃতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও আপগ্রেডেশনের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।জানতে চাইলে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখনো কোনো বাজেট পায়নি। তবে নিজস্ব অর্থায়নে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ঝুঁকিপূর্ণ এসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বাজেট পাওয়া গেলে পুরনো এসিগুলো সরিয়ে ফেলা হবে এবং পুরো চমেক হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইনের সার্ভিসিং করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে