গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত নয় ছোটন
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে শক্ত গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্যতম তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। বি গ্রুপে পড়েছে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনাম। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের ড্র। এই চ্যাম্পিয়নশিপই ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের এশিয়ার বাছাই পর্ব। তবে গ্রুপ পর্বেও প্রতিপক্ষ নিয়ে মোটেও বিচলিত নন বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তারমতে এখানে যারা অংশ নিচ্ছে প্রতিটি দলই শক্তিশালী। এখান ভালো করতে হলে প্রতিপক্ষ নিয়ে নিয়ে ভাবতে হবে নিজেদের নিয়ে। ১৫ থেকে ২৮শে সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ২টি দল টিকিট পাবে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ এশিয়ার সেরা আট থেকে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নেয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রুপ নিয়ে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, চূড়ান্ত পর্ব অনেক কঠিন। গত আসরেই মেয়েরা সেটা টের পেয়েছে। গত আসরের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, গ্রুপ নয় আমাদের উচিত নিজেদের দিকে মনোনিবেশ করা। আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। ঈদের ছুটিতে আছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আপনজনের সঙ্গে ঈদ পালন করেই আগামী ৮ই জুন ক্যাম্পে ফিরবে মারিয়া-তহুরা। পরদিন থেকেই শুরু হবে প্রস্তুতি। গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে নারী দলের সফল এই কোচ বলেন, জাপান অনেক শক্তিশালী। ওরা এখনো আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডকে হারানো সম্ভব। গত আসরে কৃষ্ণার লাল কার্ড পাওয়ার আগপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আধিপত্য বজায় রেখে খেলছিলাম। ২-১ গোলে এগিয়েও ছিলাম আমরা। কিন্তু ওই এক লালকার্ডে আমরা ম্যাচটি হেরেছি। থাইল্যান্ডের সঙ্গেও আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আশা করছি মেয়েরা তাদেও সেরাটা দিতে পারলে ভালো কিছুই হবে গ্রুপে। উল্লেখ্য, আগামী বছর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ঠা অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের এই বিশ্বকাপ। ভারত বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়লেও এখন স্বাগতিক হিসেবে খেলবে বিশ্বকাপে।