গোপন ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হবেন শীর্ষ ৫ নেতা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০

প্রথমবারের মতো গোপন ভোটে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব। সংগঠনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা ও গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচনে ড্যাবকে মডেল করতে চায় বিএনপি। এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১৯ বছরের অচলায়তন ভেঙে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয়েছিল সংগঠনটির একটি আহ্বায়ক কমিটি। সেটির তৎপরতায় ৬৫টি সাংগঠনিক কমিটি গঠনের পর এবার আয়োজন করা হয়েছে নির্বাচনের। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিএনপি’র নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে ড্যাবের নতুন কমিটি নির্বাচন। গোপন ভোটে ড্যাবের শীর্ষ পাঁচ পদে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন ২৬৪জন কাউন্সিলর। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনার ভেতর দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ড্যাবের নতুন কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। ড্যাবের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা বা মেডিকেল কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। তবে যারা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতেও রয়েছেন আবার জেলা কমিটির শীর্ষ পদেও রয়েছেন তারা একটি ভোট প্রদানের অধিকার রাখবেন। ফলে ৬৫টি জেলা কমিটির ১৩০জন শীর্ষ নেতার মধ্যে ভোটাধিকার পেয়েছেন ১০৩জন। কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১৬১ ভোট ও জেলা এবং মেডিকেল শাখা কমিটির ১০৩ ভোট মিলিয়ে নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৬৪। নির্বাচনে ফলো করা হয়েছে সংগঠনের নিজস্ব সংবিধান। এদিকে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় এই তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য নেতারাও এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এটা তারা সবাই মেনে নিয়েছেন। ফলে আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনটির শীর্ষ ৫ পদে আসছে নতুন মুখ। ড্যাবের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভুঁইয়া মাসুম বলেন, বিগত ১৯ বছর ধরে ড্যাবের কোন কমিটি হয়নি। আমরা সে পরিস্থিতি নিরসন করার জন্য চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ড্যাব নেতারা বলেছিলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই এই সংগঠনটি পরিচালিত হওয়ার দরকার। দুই বছর পরপর কমিটি পুনর্গঠন হওয়া দরকার। তারই প্রেক্ষিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হঠাৎ একদিন আমাদের ড্যাবের সিনিয়র নেতাদের ডাকেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে সবার বক্তব্য শুনেন। তারপর সবার কাছে নাম প্রস্তাব নিয়ে, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন তিনি। ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকে সে আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। দায়িত্ব পেয়েই আহ্বায়ক কমিটি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়া সফর করে ৬টি বিভাগীয় মতবিনিময় সভা করেন। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির অধিনস্ত ১৩টি উপকমিটি সারা দেশে সাংগঠনিক সফর করেন। তারই মাধ্যমে গঠিত হয় সংগঠনের ৬৫টি জেলা ও মেডিকেল শাখার পূর্ণাঙ্গ ও আহ্বায়ক কমিটি। ডা. মাসুম বলেন, আমাদের আহ্বায়ক কমিটির সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় তিন মাস। এই তিনমাসের মধ্যেই সারা দেশে কমিটি গঠন ও কাউন্সিল করে ভোটাভুটির মাধ্যমে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ড্যাবকে একটি মডেল হিসেবে নিয়েছেন। ড্যাব হবে গণতান্ত্রিক মডেল এবং এই মডেলটি তিনি সব সংগঠনে চালু করতে চান। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার যে উদ্যোগ তারেক রহমান নিয়েছেন, যে পদ্ধতি তিনি চালু করেছেন সেটাকে আমরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই। ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ বলেন, আমরা চাই দেশের সকল পেশাজীবী সংগঠন ও অঙ্গসংগঠন এটা ফলো করবে। এটার জন্য আমরা তারেক রহমানকেই সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেবো। কারণ এটার জন্য তিনি কোন কিছু চাপিয়ে না দিয়ে বরং আমাদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। এখন ড্যাবে কোন লবিং নেই, গ্রুপিং নেই। বিএনপির কোনো পর্যায়ের কোনো নেতার হস্তক্ষেপ নেই। আমরা এটা উপভোগ করছি। এটা যদি বিএনপির সকল সংগঠনে চালু হয় সেটা হবে গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, আপনি যদি গণতন্ত্র চান তাহলে আগে নিজের সংগঠনে গণতন্ত্র আনতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কাজটা শুরু করেছেন। এই জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, বর্তমানে সাধারণ ও জীবন সদস্য মিলিয়ে ড্যাবের সদস্য সংখ্যা ২৫৯২।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও