হারিয়ে যাওয়া সব ফাইলের ছায়া নথি খুলবে রাজউক
হারানো সব ফাইলের ছায়া নথি খুলবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এজন্য এষ্টেট বিভাগ, নকশা অনুমোদন শাখা ও প্রশাসন শাখাসহ বিভিন্ন শাখা থেকে হারানো নথির তালিকা জোগাড় করা হচ্ছে। তালিকা তৈরির পরই ছায়া নথি খোলা হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২রা এপ্রিল রাজউকের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ২৪টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, গণপূর্ত মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক রাজউকের আওতাধীন সব প্রকল্পের প্লটের হারানো নথির ছায়ানথি খোলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এ বিষয়ে এষ্টেট শাখার উপ-পরিচালকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ঝিলমিল ও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে কয়েক শতাধিক অবরাদ্দকৃত বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। এসব বাণিজ্যিক প্লটগুলো দখল করে রেখেছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা নামধারী ভূমিদস্যুরা। রাজউকের আয়ত্বে নিয়ে এসব প্লট বিক্রি করলে হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা সম্ভব। এজন্য বাণিজ্যিক প্লটগুলোর তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এষ্টেট-১ ও ২ এর কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা সরজমিন পরিদর্শন করে রিপোর্ট তৈরি করছেন। সহসাই অবরাদ্দকৃত বাণিজ্যিক প্লটগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে রাজউক। এদিকে কাওরান বাজার ও পান্থপথ এলাকার অনেক বাণিজ্যিক প্লটের বরাদ্দ গ্রহীতা প্রথম কিস্তি পরিশোধের পর বাকী অর্থ পরিশোধ করেননি। ওই সব প্লটের বরাদ্দ গ্রহীতা নিজে বা তাদের ওয়ারিশরা প্লটটি দখলে রেখেছেন। এসব প্লটের তালিকাও তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকার পরিত্যক্ত বাড়িগুলো রাজউকের আয়ত্বে নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি প্লটে ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করেছে রাজউক। এখন আরও ৩৩ টি বাড়িতে ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে গুলশান এলাকার সাতটি বাড়ি নিজেদেরে নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা তৃতীয় পর্যায় আবাসিক প্রকল্পে নতুন করে ২২ টি বাণিজ্যিক প্লট সৃষ্টি করা হয়েছে। সহসাই এসব প্লটের নিলাম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মতবিনিময় সভায় এসব বাণিজ্যিক প্লটের মূল্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বলা হয়েছে, মূল্য নির্ধারণের পর এসব বাণিজ্যিক প্লটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যেতে পারে। পাশাপাশি উত্তরা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের খালি প্লটের তালিকাও তৈরি করা হবে।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ
- রাজউক