আয়শার এমন মৃত্যুই ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের প্রতিচ্ছবি
দৈনিকসিলেটডেস্ক: গাজার বুরাইজ শরণার্থী শিবিরের শিশু আয়শা লুলুর মারা যাওয়ার ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি বলে তুলে ধরেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আলকাইলা। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক শনিবার জানায়, পাঁচ বছরের আয়শা জেরুজালেমে চিকিৎসার জন্য একা একা গিয়ে, ফিরে আসার অল্প সময় পরেই স্রষ্টার ডাকে চলে যায়। জেরুজালেমের হাসপাতালে মস্তিষ্কের জটিল অপারেশনের জন্য যাওয়ার সময় আয়শার পরিবারের কাউকে তার সঙ্গে যেতে দেয়নি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আয়শার পরিবারের সদস্যদের আবেদন ইসরাইল বারবার প্রত্যাখ্যান করে। ফলে একাই তাকে অপারেশন থিয়েটারে যেতে হয়। 'একটা ছোট্ট বাচ্চা ইসরাইলি চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় বা চিকিৎসা চলাকালীন তাকে মানসিক শক্তি জোগাতে মা-বাবা বা ভাই কেউ না থাকে কিভাবে?' ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে দেয়া বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন আলকাইলা। 'আয়শাকে তার অসুখের সঙ্গে একা লড়াই করতে হয়েছে। মানবাধিকার, শিশু অধিকার, সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক সম্মতি ও চুক্তির অশোভন লঙ্ঘনের মধ্যে লড়াই করেছে,' যোগ করেন তিনি। বাবা-মা ও পরিবার ছেড়ে থাকায় সার্জারির আগে ও পরে আয়শা জটিল মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার ভোগ করে। হাসপাতালের বিছানায় সে তার মাকে পাশে পাওয়ার জন্য চিৎকার করে কাঁদতো। সার্জারির পর গাজার হাসপাতালে আরও চিকিৎসা দেয়ার জন্য তাকে একাই গাজায় ফেরত পাঠানো হয়। আয়শা এরপর আর বেশি দিন বাঁচেনি। কয়েকদিন আগে তিক্ত মনোভাব নিয়ে মারা গেছে সে। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল বা পশ্চিমতীরে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়দের যেতে দেয়ার ব্যবস্থা করতে স্বাধীন বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলকাইলা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.