স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের অস্বীকার, শঙ্কায় পরিবার
স্বেচ্ছাসেবক দল সিরাজগঞ্জ শহর শাখার আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন সানুকে শুক্রবার দুপুরে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নেয়ার পর অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজন ও বিএনপি নেতারা। উদ্বিগ্ন স্বজন ও নেতারা সানু’র সন্ধান দাবি করেছেন। শুক্রবার ইফতারের পর দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, বিকালে শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে এক বিএনপি নেতার জানাযা শেষে রিক্সাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সানু। তিনি স্টেডিয়াম রোড এলাকায় পৌঁছলে সাদা পোশাকধারী সদর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সানুকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করছে। তিনি আরও বলেন, সানুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা থাকলেও প্রায় সব মামলাতেই জামিনে রয়েছেন। তাকে আটকের পর পুলিশ কোর্টে সোপর্দ না করে গোপন রাখায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ পরিবারের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা নাজমুল হাসান রানা, আবু সাইদ সুইট, যুবদল সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বার বাবু, সাধারন সম্পাদক বরাত হোসেন, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সানুর বাবা-মা, ভাই ও স্ত্রী-সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সানুকে আটকের পর অস্বীকারের ঘটনা নিঃসন্দেহে অশুভ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশের মানুষ এখন চরম অশান্তি ও গভীর শঙ্কার মধ্যে দিনযাপন করছে। সানু নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।অপরদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দাবি করেছেন, সানুকে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নেয়ার পর অস্বীকার করায় এখন আশঙ্কা হচ্ছে তাকে গুমও করা হতে পারে। এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, সানুকে পুলিশ আটক করেনি। এমনকি এ বিষয়ে তার কাছে কোন তথ্য নেই।