ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য ধরা পড়ার পরও সেগুলো জব্দ বা বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ৫ সরকারি কর্মকর্তাকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’। এরা হলেন, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিশন (বিএসটিআই)-এর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। এর আগে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিশন’ (বিএসটিআই) এর পরীক্ষায় ৫২টি প্রতিষ্ঠানের ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য ধরা পড়ে। কিন্তু এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যস্থা না নেয়ায় আজ এ আইনী নোটিশ পাঠান সিসিএস-এর আইন উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়ে বলা হয়েছে, গত ৩রা ও ৪ঠা মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরণের ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল রয়েছে। গত ২রা মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ রিপোর্ট প্রকাশ করে বিএসটিআই। বিএসটিআই জানায়, ওই ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট পণ্যসমূহ জব্দ না করে শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ওইসব নিম্নমাণের পণ্য বাজারে বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পণ্যগুলো বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব পণ্য জব্দ বা বাজার থেকে প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও তিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ছাড়াও এবং পরীক্ষিত ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্যসমূহ প্রত্যাহার, জব্দ এবং সংশ্লিষ্ট ৫২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।সিসিএস বলছে, পণ্য জব্দ বা বাজার থেকে প্রত্যাহারে আইন প্রয়োগের সুযোগ থাকার পরেও তা না করায় বাজারে ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এতে ভোক্তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভোক্তার আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। সেকারণে বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.