পশ্চিমবঙ্গে বুথের বাইরে ১৪৪ ধারা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ০০:০০

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ৭টি রাজ্যের ৫১টি কেন্দ্রে আজ সোমবার ভোট নেয়া হচ্ছে। ভোট হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ১৪টি, রাজস্থানের ১২টি, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি, মধ্যপ্রদেশের ৭টি, বিহারের ৫টি, ঝাড়খণ্ডের চারটি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসনে শেষ দফার ভোট নেয়া হচ্ছে। ভারতে এবার সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চার দফায় লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে মোট ৩৭৫টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আজকের নির্বাচনে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীসহ মোট ৬৭৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। উত্তর প্রদেশের আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। আর সোনিয়া গান্ধী লড়ছেন রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে। রাহুল ও সোনিয়া ছাড়াও আজকের ভোটে ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির রাজ্যবর্ধন রাঠোরে, স্মৃতি ইরানি, জয়ন্ত সিনহা, রাজীব প্রতাপ  রুডি, লোক জনশক্তি পার্টির রাম বিলাস পাশোয়ান প্রমুখের। আজকের নির্বাচন বিজেপির কাছে রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষার শামিল। গতবার এই দফার ৫১টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনেই বিজেপি জয়ী হয়েছিল। বাকি আসনগুলো জিতেছিল কংগ্রেস, লোক জনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি  ও তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই দফার ভোটে উত্তরপ্রদেশে গতবারের জেতা ১২টি আসন ধরে রাখা রীতিমতো কঠিন। কেননা, এবার সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি একজোট হয়ে লড়াই করার ফলে গতবারের ব্যবধান বহু জায়গাতেই ধুয়েমুছে যাবার সম্ভাবনা। তবে কংগ্রেস যেহেতু আলাদা করে উত্তর প্রদেশে লড়াই করছে তাই ভোট কাটাকুটির অঙ্কের উপর ভরসা রাখছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের অধিকাংশ জয়ী আসন ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিজেপিকে। বিশেষ করে রাজস্থানে বিধানসভা ও স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে বিজেপির ফল ভালো হয় নি। বরং কংগ্রেস অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে। তাই কংগ্রেস বেশকিছু আসন ছিনিয়ে জয়ের পুরনো ধারায় ফিরতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গের ৭ আসনেই তৃণমূল জয়ী হলেও এবার তাদের অনেক জায়গাতে বা বিজেপির কঠোর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফলে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই দফার ৭টি আসনের মধ্যে একটি বা দুটি আসন জয়লাভের জন্য প্রবল উদ্যমে প্রচার চালিয়েছে। আজ পশ্চিমবঙ্গে যে ৭টি আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো বনগাঁ, বারাকপুর, হুগলী, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ ও হাওড়া। এর মধ্যে বারাকপুরকে সবচেয়ে স্পর্শকাতর কেন্দ্র্র বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে এলাকায় বাহুবলী হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অর্জুন সিংকে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন গতবারের বিজয়ী দীনেশ ত্রিবেদী। গত চারদফার নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে অশান্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আরো কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি, অবৈধ জমায়েত ঠেকাতে প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির বাইরেও এলাকা ধরে ধরে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণত  ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে বৈধ  ভোটার ছাড়া অন্য জমায়েত করা যায় না। এ নিয়ে কমিশনের পাকাপাকি নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে,  সেই চৌহদ্দির বাইরে অবৈধ জমায়েত থেকে বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। তাই এদিন কমিশন বিভিন্ন এলাকা ধরে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দিয়েছে। তবে এলাকা বাছাইয়ের ভার দেয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। পর্যবেক্ষকরা তার তদারকি করবেন। এ দফার ভোটে ৫৭৮ কোম্পানি  কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে কমিশন। কিন্তু অতীতের দফাগুলোতে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, জওয়ানদের উপস্থিতি অনেক জায়গাতেই টের পাওয়া যায়নি। তবে কমিশনের দাবি, এবার বাহিনী পর্যাপ্ত থাকায়  সেই সমস্যা আর থাকছে না। সূত্রের ব্যাখ্যা, এক এবং দু’টি করে বুথের ভোটকেন্দ্রে অর্ধেক  সেকশন (চার জন) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তিন এবং চার বুথের ভোটকেন্দ্রে রাখা হচ্ছে এক সেকশন (আট জন) বাহিনী। এভাবে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ শুধু ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পালন করছে। মোট ১৪২টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকছে। এক একটি থানা এলাকায় দু’টি করে কিউআরটি থাকছে। জানা গেছে, গতবারের  থেকে কিউআরটি-এর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এমনকি, বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়  কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতি থাকছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও