কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ-লাওস

শেষ পর্যন্ত বাতিল হলো বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনাল। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ-লাওসকে। আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুশের্দী গতকাল ফাইনাল বাতিলের ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ম্যাচ কমিশনার, রেফারি এবং অংশগ্রহণকারী দু’দলের সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রেসবক্সে বসে সালাম মুশের্দী যখন ফাইনাল বাতিলের ঘোষণা দিচ্ছেন, গ্যালারিতে তখন খেলার দাবিতে  চিৎকার করছিল দর্শকরা। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পরলেও গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছিল ফাইনাল আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। এর চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। মাঠ যে ফাইনালের উপযোগী ছিল সংবাদ সম্মেলনে সেটা স্বীকার করেছেন লাওস দলের ম্যানেজার গালদানসুখ তুভসিনবায়ার। দুপুরে বৃষ্টি আর বাতাস যেভাবে শুরু হয়, তাতে ধরেই নেয়া হয়েছিল ফাইনাল খেলা মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী বেশ কয়েকদিন ধরে শক্তি সঞ্চয় করে গতকাল সকালে আঘাত হানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওড়িশায়। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ফণী আঘাত হানার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে তার আগেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায়। দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হয় সকালে। বজ্রপাতে প্রাণ যায় কয়েকজনের। ফাইনালের নির্ধারিত সময় ছিল সন্ধ্যা ৬ টা। তার ঘণ্টাখানেক আগে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। আকাশ পরিষ্কার হলে ওয়ার্মআপ করতে নামে দু’দল। বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে দর্শক জমতে শুরু করে। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের। তারও প্রস্তুতি ছিল। দিনভরই স্টেডিয়াম দখলে রেখেছিল রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী। দু’দল যখন ওয়ার্মআপ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরছিল, তখনই ম্যাচ বাতিলের কথা শোনা যায়। আধাঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা দেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুশের্দী। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, আয়োজনের প্রস্তুতি ভালো ছিল। দর্শক ছিল আগ্রহী। কিন্ত ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ফাইনাল বাতিল করা হয়েছে। এ জন্য বাফুফে সকলের নিকট দুঃখিত। ফাইনালে বাংলাদেশ ও লাওসকে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো। যারা টিকেট কিনে স্টেডিয়ামে ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেন বাফুফের এই কর্মকর্তা।ঘুর্ণিঝড় ফণীর কথা শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। দেশের আবহাওয়া অফিস দু’দিন ধরেই সর্তক করছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়েছে সরকার। সেখানে বাফুফে কেন বিষয়টি আগে আমলে নেয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাম মুশের্দী বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি ফাইনাল আয়োজনের। তবে সারা দেশের অবস্থার কথা বিবেচনা করেই শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব কেনা প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম বলেন, আমরা এমন শেষ চাইনি। তবে দেশের অবস্থা বিবেচনা করে সকল স্পন্সরের সঙ্গে কথা বলে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকার আবহাওয়া খেলার উপযোগী থাকলেও ঢাকার বাইরের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। হঠাৎ করে বাফুফের নেয়া এমন সিদ্ধান্তে খুশি না হলেও মেনে নেয়ার কথা জানান লাওস দলের ম্যানেজার গালদানসুখ তুভসিনবায়ার। ‘বিষয়টি আমাদের জন্য হতাশার। খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো অবস্থা ছিল এখানে। তারপরেও আয়োজকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমরা তা মেনে নিয়েছি। আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট বলেই হয়তো ম্যাচের আধাঘন্টা আগে হটকারী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে বাফুফে!
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন