বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশের মতো বাংলাদেশেও মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস এই দিন। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখায় দিনটি। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সকল শ্রমিকের জন্য কাজের সময় দিনে ৮ কর্ম ঘণ্টা এবং ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে সাধারণ শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো সোচ্চার ছিল। সরকার, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য র্যালি, শ্রমিক সমাবেশ, আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এক সমাবেশে শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবস ২২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হলেও লাখ লাখ বেসরকারি শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবসের সুফল পাচ্ছেন না। ১৯০৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী মে দিবস শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান-সংহতি জানানোর দিন হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে। তবে ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রমঘণ্টা ১২ থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করার দাবিতে একটি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। মে মাসের ৪ তারিখ শিকাগো শহরের হে মার্কেট স্কয়ারে পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অজ্ঞাতনামা কেউ বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে অনেক শ্রমিক নিহত হন। পরে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে আমেরিকান সরকার শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার দাবি পূরণ, শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনাকে স্মরণ এবং তাঁদের প্রতি সংহতি জানাতে ১লা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, মে দিবস কেবল অধিকার আদায়ের দিন নয়, নিজেদের আত্মবিশ্লেষণ ও সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার অঙ্গীকারও বটে। তিনি বলেন, মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। অপরদিকে, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে আশা প্রকাশ করেছেন।সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন দিনটি পালন করতে শোভাযাত্রা, শ্রমিক সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নানান কর্মসূচি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দুই অংশ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক দল, জাতীয় শ্রমিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.