জনতার মুখোমুখি গাজীপুরের মেয়র

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ০০:০০

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাজীপুর সিটি এলাকার মহানগরের মহাসড়কগুলোকে যানজট মুক্ত করতে চারপাশে বিকল্প সড়ক এবং ছোট-বড় গাড়ি নামানো হবে। নগরীকে সবুজায়ন করা হবে। দূষণমুক্ত করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে চালানো হবে সিটির সকল কর্মকাণ্ড। মঙ্গলবার বিকালে মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় জিকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সিটির প্রথম উদ্যোগ জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ওইসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, নগরীতে আটটি খাল খনন করে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এলাকার পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ৮টি খাল খনন করা হচ্ছে। সিটি এলাকায়  রাস্তা নির্মাণ, প্রশস্তকরণ, বৃক্ষরোপণ করা হবে। মেয়র বলেন, আমরা এসব কাজের অনলাইনে টেন্ডার দিচ্ছি। যাতে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ঠিকাদাররা এ টেন্ডারে অংশ নিতে পারে। কাউকে মুখ চিনে কোনো কাজের টেন্ডার দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীকে যদি কেউ উত্ত্যক্ত করে তবে ওই উত্ত্যক্তকারীসহ তাদের অভিভাবকদের জবাবদিহি করা হবে, বিচারের আওতায় আনা হবে। সকল শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারবে। বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে মেয়র বলেন, যারা গাজীপুর সিটির নাগরিক/ভোটার এবং যারা বেকার রয়েছে পর্যায়ক্রমে তাদের শতভাগ কর্মসংস্থান করা হবে। এলাকার কারখানার বর্জ্যে যাতে জলাশয় ও নদী দূষণ না হয় তার জন্য কারখানায় ইটিপি স্থাপনে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইচ্ছা করলেই একদিনেই নগর উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব নয়, এজন্য সময় লাগবে। সিটি এলাকায়  রাস্তা নির্মাণ, প্রশস্তকরণ, বৃক্ষরোপণ করা হবে।  প্রথমে ৮টি থানা এলাকায় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। পরে সব ওয়ার্ডে কবরস্থান করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে টঙ্গী ব্রিজ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মহাসড়কে সরকারি প্রজেক্টের কাজ চলছে। সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসন করা একটু কষ্টকর। ৮টি খাল খনন করে সেখানে এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর ফল পাওয়া যাবে। এলাকায় বর্জ্য অপসারণে সুইপার নিয়োগের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, সিটিতে এক/দেড়শ’ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকর্মী  রয়েছে। যা অপ্রতুল। তাই নাগরিকদেরও এ কাজে সহযোগিতা করতে হবে। সিটি এলাকায় ময়লা রাখার কোনো সরকারি জায়গা নেই, এজন্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছি। প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি প্রযুক্তির সহযোগিতা নেয়া হবে। ১২শ’ কোটি টাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। গাজীপুর মহানগরীর রাস্তার পাশে ও খোলা জায়গায় গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মহাসড়কে যানজট রোধে সম্প্রতি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে মহাসড়কে এসিবাস ও বিকল্প ছোট গাড়ি নামানো হবে। আগামী রমজানেই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ ছাড়া মহানগরের চারপাশে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান কাজল বক্তব্য রাখেন। নগরীর বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির নাগরিকরা মেয়রকে তাদের প্রশ্ন রাখেন এবং মেয়র ওইসব প্রশ্নের জবাব দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও