কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতিনিধি সভাকে ঘিরে চাঙ্গা সিলেট আওয়ামী লীগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ০০:০০

সিলেট আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক স্থবিরতা চলছে। ৫ বছর আগের কমিটি দিয়ে চলছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। প্রায় ১৪ বছর আগের কমিটি দিয়ে চলছে যুবলীগ। আর ছাত্রলীগেরও কোনো কমিটি নেই। এই অবস্থায় আগামী ৫ই মে সিলেটে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার আয়োজন চলছে। একই সঙ্গে সিলেটে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক গতি আনতে দলকে ঢেলে সাজানোর দাবিও উঠেছে। ক্ষমতাসীন দল হওয়ার কারণে সিলেটে আওয়ামী লীগে কর্মী-সমর্থকের অভাব নেই। মাঠে শোডাউন কিংবা দলীয় কর্মকাণ্ডে উপচে পড়ছে নেতাকর্মীরা। অধিকসংখ্যক নতুন মুখের আবির্ভাব হওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। ২০১১ সালে সর্বশেষ গঠন করা হয়েছিল সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানকে সভাপতি ও শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি, বদর উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও আসাদ উদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। প্রথমে আংশিক এবং পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি নিয়ে সিলেটে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিলেও পরবর্তীতে তা স্তিমিত হয়ে যায়। কমিটি গঠনের দুই বছরের মাথায় মারা যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে কার্যক্রম। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী একাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগকে। সাংগঠনিক গতি আনতে তিনি এখনো কাজ করে চলেছেন। মহানগর আওয়ামী লীগে টিমওয়ার্ক থাকলেও দূরত্ব রয়েছে। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিলেট আওয়ামী লীগের কর্মীদের মনে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগ জয় ঘরে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর সিলেট আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে কেন্দ্র শোকজ করেছিল। এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে দূরত্ব কমাতে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে সব অভিমান ও কষ্ট ভুলে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে একাট্টা হয়ে মাঠে ছিলেন। তিনি সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেনের পরিচালনা কমিটির প্রধান হয়ে কাজ করেন। সিলেট মহানগরের সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন কামরান। বিগত উপজেলা নির্বাচনেও তিনি ছিলেন সরব। বিদ্রোহী, দলীয় প্রার্থী মিলে সিলেটে একক আধিপত্য রেখেছে আওয়ামী লীগ। তবে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের তৃণমূলেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিরাজ করছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ৫ই মে সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা। ওই দিন সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে প্রতিনিধি সভা হবে। উপস্থিত থাকবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। প্রতিনিধি সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই সকল জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোতে সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। দলীয় সভানেত্রীর ঘোষণার পর সারা দেশে ৮টি সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি। সাংগঠনিক টিম নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগগুলোতে সফর করার মধ্য দিয়ে দলীয় কর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টির পাশাপাশি দলে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনায় সচেষ্ট হবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগরের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জানিয়েছেন, দলের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিধিসভায় আলোচনা হবে। এতে তৃণমূলের নেতারা অংশ নেবেন। তারাও তাদের অভিমত ব্যক্ত করবেন। পরবর্তীতে সেটি কেন্দ্রের কাছে উপস্থাপন করা হবে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেটে দল পুনর্গঠন নিয়ে তৃণমূলের নেতারা দাবি তুললে সেটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এবং বর্তমান অবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও