ডেভিড বেকহাম-ভিক্টোরিয়া বেকহাম, কী দারুণ এক জুটি! লিওনেল মেসি-আন্তোনিলা রোকুজ্জোর তো সেই কৈশোরের সম্পর্ক। ফুটবল জগতে সুখী দম্পতির এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। বেকহাম-মেসিরা তাদের বিবাহিত জীবন নিয়ে সুখী। তবে অনেকের আবার একজন সঙ্গীতে চলে না। অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবনে অভ্যস্ত অনেক ফুটবলার। নিজ স্ত্রীকে রেখে বন্ধু-সতীর্থের স্ত্রীর সঙ্গে পার্টি করা, তাদের বিছানায় নিয়ে যাওয়া তাদের কাছে অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। সম্প্রতি বৃটিশ দৈনিক ডেইলি সান’র কাছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগে খেলা সাবেক দুই ফুটবলারের স্ত্রী। তাদের একজন চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার ডিফেন্ডার জেসন কান্ডির সহধর্মিনী লিজি কান্ডি। অন্যজন তার পরিচয় গোপন রেখেছেন।৪৯ বছর বয়সী লিজির জবানিতে ফুটে উঠেছে ইংলিশ লীগে খেলা ফুটবলারদের কালো দিকটি। লিজি বলেন, ‘ফুটবলাররা হাল জমানার রক অ্যান্ড রোল স্টার। অল্প বয়সেই তারা প্রচুর অর্থের মালিক হয়। বাইরে থেকে তাদের আভিজাত্য সহজেই চোখে পড়ে। তবে একজন সাবেক ফুটবলারের স্ত্রী হিসেবে পর্দার আড়ালের ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা আমার চোখে ধরা দিয়েছে। আমাদের সময়ে ফুটবলাররা ক্লাবের সতীর্থদের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটাতো। পার্টি, হ্যাং আউট সবকিছুই ছিল নিজেদের মধ্যে। যে কারণে দেখা যেত এক ফুটবলারের স্ত্রী আরেক ফুটবলারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। সৌভাগ্যবশত নিজেকে এসব থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছিলাম আমি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন নারী তার ব্লগে লিখেন, তার ফুটবলার স্বামী পরনারীতে আসক্ত ছিলেন। গণমাধ্যমে বেশ রসিয়ে ওই খবর প্রকাশ করা হয়। এতে দাম্পত্য জীবন হুমকির মুখে পড়ে। জন্ম নেয় অবিশ্বাস। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই তিনি তার স্বামীর ফোন অনুসন্ধান করতেন। ল্যাপটপ-পিসিতে স্বামীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা আছে কি না দেখতেন। লগ ইন করা থাকলে খুদে বার্তাগুলো পড়তেন। ওই নারী আরো বলেন, ‘ আমার এক বান্ধবীও (তিনিও একজন ফুটবলারের স্ত্রী) একই কাজ করতো। সে আমাকে বলেছিল, ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগের কিছু খেলোয়াড় ও তাদের প্রেমিকা/স্ত্রীরা প্রায়ই পার্টির আয়োজন করতো। অনেক সময় দেখা যেত, পার্টিতে সবাই এত বেশি পরিমাণ মদ খেয়েছে যে নিজেদের স্ত্রীকে চিনতে পারছে না। তখন বাজে ব্যাপারটি ঘটতো। বন্ধুর এক বা একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়তো অনেকে। এমনটি নয় যে তারা বিষয়টি জানতো না। তারা সজ্ঞানেই এই কালচারটা নিজেদের মাঝে চালু রেখেছিল এবং তারা এটি উপভোগ করতো।’ওই ব্লগার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে ফুটবলাররা মডেল ও পেজ-থ্রি (শো-বিজ মডেল) গার্লদের প্রতি ঝুঁকছে। ওদের কারণে আমাদের মতো সাধারণ স্ত্রীদের দাম্পত্য জীবন ঝুঁকিতে। কারণ মডেলদের মতো ফিটনেস ও গ্ল্যামার ধরে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আর ভিক্টোরিয়া (ডেভিড বেকহ্যামের গায়িকা স্ত্রী), পিয়েরে এডওয়ার্ড (অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলাইনের মডেল প্রেমিকা), শেরিলদের (অ্যাশলে কোলের গায়িকা স্ত্রী) মতো প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে আপনি তাদের পছন্দের তালিকায় তলানিতেই থাকবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.