কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘মৃত্যু নিশ্চিত করে মুখে এসিড ঢেলে দেই’

ইঞ্জিনিয়ার কাইয়ুম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে । গ্রেপ্তার হওয়া আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জু (২৫) টাঙ্গাইলের মীর দেওহাটা গ্রামের মো. সবুর মিয়ার ছেলে। র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, গত ৯ই মার্চ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সামনে ঢাকার বসুন্ধরার নিবাসী  কোটিপতি জালাল উদ্দিনের একমাত্র ছেলে  ইঞ্জিনিয়ার আ. আব্দুল কাইয়ুমকে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ১৩ই মার্চ ওই এলাকা থেকে অর্ধ-গলিত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর  থানা পুলিশ। এ বিষয়ে সদর থানায় ১৬ই মার্চ একটি  হত্যা মামলা করা হয়। ক্লুলেস এই মামলায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ই এপ্রিল রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে কাইয়ুম হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি আঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আঞ্জু জানায়, ইঞ্জিনিয়ার কাইয়ুমের কাছ থেকে নেয়া নগদ ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসে মঞ্জু। পরে গত ৯ই মার্চ তাকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গাজীপুরের জাতীয় উদ্যান এলাকায় ঘুরতে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কাইয়ুমকে ছবি তোলার কথা বলে গাছের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে পিছন দিক থেকে গলা টিপে ধরে মঞ্জু। এক সময় কাইয়ুম মাটিতে পড়ে গেলে তার গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে কেউ যাতে চিনতে না পারে সে জন্য ভিকটিমের মুখে এসিড ঢেলে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।র‌্যাব জানায়, ছোট বেলা থেকে কিশোর কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা পড়ে ঢাকার বসুন্ধরার নিবাসী  কোটি পতি জালাল উদ্দিনের একমাত্র পুত্র ভিকটিম ইঞ্জিনিয়ার আঃ কাইয়ুম এর মনেও স্বপ্ন জাগে বড় হয়ে মাসুদ রানা হবো। এর ফলশ্রুতিতে তার আত্নীয় স্বজন তাকে মাসুদ রানা নামেই ডাকতো। এই মাসুদ রানা হওয়ার স্বপ্নের কথা জানতে পারে তার টাঙ্গাইলের খালার বাড়ির প্রতিবেশী  আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জু বয়সে ইঞ্জিনিয়ার আঃ কাইয়ুমের ছোট। কাইয়ুম খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে প্রতারক আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জু তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং ভিকটিমের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করে। আঞ্জু মনে মনে স্বপ্ন আঁকে ধনীর দুলাল ভিকটিমের টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি হওয়ার। আঞ্জু ৫ম শ্রেণী পাশ, প্রখর বুদ্ধি সম্পন্ন । আঞ্জু ২০১৭ সালে মালদ্বীপে গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে বাংলাদেশে ফেরত এসে ভিকটিমকে সরকারি উচ্চ পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০ লাখ টাকার চুক্তি করে। ২০১৮ সালে ৯ লাখ টাকা নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যায় এবং ফন্দি আটে কিভাবে এই নয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করা যায়। ভিকটিম একটি মেয়েকে পছন্দ করতো যা আঞ্জু জেনে ছিল। তার পছন্দের মেয়ে হবু স্বামী সহ ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে আসবে এই সংবাদটি আঞ্জু ভিকটিমকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। তার পছন্দের মেয়েকে তার হবু স্বামীর কাছ থেকে অপহরণ করে ভিকটিমের নিকট তুলে দিবে এই স্বপ্ন দেখিয়ে গত ৯ই মার্চ ভিকটিম ও আঞ্জু গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের গভীর জঙ্গলে চলে যায় এবং বিভিন্ন গল্প করে সময় অতিবাহিত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ছবি তোলার কথা বলে গাছের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে পিছন দিক থেকে গলা টিপে হত্যা করে। কেউ যাতে চিনতে না পারে সে জন্য ভিকটিমের মুখে এসিড ঢেলে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সে। ন্যাশনাল পার্ক থেকে সে পালিয়ে ২৫ দিন ধরে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তীতে র‌্যাবের জালে আটকা পড়ে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন