কালজয়ী যত গান
শাহনাজ রহমতুল্লাহর অসংখ্য গান কালজয়ী হয়ে এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বাংলা গান সমৃদ্ধ হয়েছে তার কণ্ঠে। দীর্ঘ ৫০ বছর গান করেছেন তিনি। কালজয়ী গানগুলোই তাকে চিরদিন শ্রোতাদের মনে বাঁচিয়ে রাখবে। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া গানই চারটি। এগুলো হলো ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিতে খান আতাউর রহমানের কথা ও সুরে ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথা ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ ও ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’। দেশের গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। তার গাওয়া দেশের গানের তালিকায় রয়েছে- ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ প্রভৃতি। সিনেমার গানেও তার তুলনা ছিলেন কেবল তিনিই। সিনেমা ও সিনেমার বাইরে তার গাওয়া জনপ্রিয় আধুনিক গানের তালিকায় রয়েছে ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’ (পিচঢালা পথ), ‘ওই ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায়’, ‘পারি না ভুলে যেতে’ (সাক্ষী), ‘যেভাবে বাঁচি বেঁচে তো আছি’, ‘আমি সাত সাগরের ওপার হতে’ (কত যে মিনতি), ‘শুনেন শুনেন জাঁহাপনা’ (সাত ভাই চম্পা), ‘কে যেন সোনার কাঠি ছোঁয়ায় প্রাণে’, ‘আমি যে কেবল বলে তুমি’ (আগন্তুক), ‘একটু সময় দিলে না হয়’ (সূর্য উঠার আগে), ‘স্বপ্নের চেয়ে সুন্দর কিছু নেই’, ‘আবার কখন কবে দেখা হবে’, ‘যদি চোখের দৃষ্টি দিয়ে চোখ বাঁধা যায়’, ‘তোমার আগুনে পোড়ানো এ দুটি চোখে’, ‘তুমি কি সেই তুমি’, ‘ও যার চোখ নাই’ (তাসের ঘর), ‘ঘুম ঘুম ঘুম চোখে’ (ঘুড্ডি), ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘বন্ধুরে তোর মন পাইলাম না’, ‘ওই আকাশ ঘিরে সন্ধ্যা নামে’, ‘আষাঢ় শ্রাবণ এলে নেই তো সংশয়’, ‘বারোটি বছর পরে’, ‘আরও কিছু দাও না দুঃখ আমায়’, ‘আমি ওই মনে মন দিয়েছি যখন’, ‘আমার সাজানো বাগানের আঙিনায়’, ‘এই জীবনের মঞ্চে মোরা’ প্রভৃতি।