কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সহযোগিতার আশ্বাসও পাচ্ছে না অসহায় পরিবারগুলো

দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চম্পা বেগম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা তিনি। চম্পা চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ভ্যানচালক এসহাক বেপারীর স্ত্রী। লাশ দাফনের জন্য বিশ হাজার টাকা পাওয়ার পর আর কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি। এর মধ্যেই অর্থ সংকটে পড়েছে তার পরিবার। বিক্রমপুর জেলার লৌহজং থানার বাসিন্দা এসহাক বেপারী পরিবার নিয়ে থাকতেন কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। চম্পা বেগম বলেন, খেয়ে না খেয়ে আছি গত দুই সপ্তাহ ধরে। স্বামীকে  হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন পরিবারটি। সন্তানের পড়াশোনা, বাড়িভাড়া সহ নানা সংকট দেখা দিয়েছে তাদের। অন্যদিকে চকবাজারের  আরেক শ্রমিক মুজিবর হাওলাদার। চকবাজার এলাকায় আগুনে পুড়ে নিহতদের একজন। তিনিও পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। পরিবারের পাঁচ সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালাতেন দিনমজুর মুজিব হাওলাদার। তার মৃত্যুতে পরিবারটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। বড় ছেলে পড়ছেন ডিগ্রি প্রথমবর্ষে। বাকিরাও পড়াশোনা করছেন স্কুলে। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে হলেও এখানে তিনি থাকতেন শ্রমিকদের মেসে। বড় ছেলে সুমন হাওলাদার বলেন, বাবার লাশের সঙ্গে যে বিশ হাজার টাকা দিয়েছে এরপর থেকে আর কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাইনি আমরা। আমাদের পরিবারটি নিয়ে খুব বিপদে আছি। বাবা মাথার ছাতা হিসেবে আমাদের ছায়া দিয়ে রাখতেন। এখন সে ছায়াটাও নেই আমাদের। সংসারের বড় ছেলে হিসেবে পুরো দায়িত্ব এখন আমার ওপর। আমি কি করবো মাথায় কাজ করছে না। মাত্র পড়াশোনা শুরু করলাম।   কেউ কোনো আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে সুমন বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে ফোন দিয়েছিল। সকল ধরনের তথ্য নিয়েছে, তারা বলছেন এক লাখ বা ৫০ হাজার টাকা করে আমাদেরকে  দেবে। আমাদের যদি কেউ আর্থিক সহযোগিতা না করে আমাকে একটা ছোটখাটো চাকরি দিতো, তাহলে সংসারের হাল ধরতে পারতাম। আমাদের তেমন জমিজমাও নেই যে চাষাবাদ করে খাবো।’চকবাজারের লেডিস ব্যাগ কারখানার শ্রমিক মোহাম্মদ আলী। তার ছেলে তিন বছরের আরাফাত। ছোট ভাই অপু রায়হানসহ একই পরিবারের নিহত হয় তিন সদস্য। তারাও লাশের সঙ্গে যে টাকা পেয়েছিলেন এর বাইরে আর কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি।  তিনজনকে হারিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব। নিহতের ফুফাতো ভাই মো. নূর হোসেন বলেন, ঘটনার দুই/একদিন পর আমাদের কাছে ফোন করেন কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিছু টাকা দেবেন। কিন্তু দশ বারোদিন পার হয়ে গেলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না আমরা। পরিবারটির দিকে তাকাতে পারছি না। যে পরিবারের একসময় সব ছিল, এখন তাদের কিছু নেই। সরকারি পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো সহযোগিতা যদি না দেয়া হয়, পরিবারটির ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এমন অবস্থায় সবার সহযোগিতা খুবই দরকার।একই কথা বলছিলেন চকবাজারে নিহত মদিনা ডেকোরেটরের কর্মচারী বেলাল হোসেনের স্ত্রী রোমা বেগম। এই পরিবারটিতেও বেলাল হোসেন ছিলেন একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। রোমা বেগম বলেন, আশ্বাস তো দিয়েছে কিন্তু কোনো ধরনের সহযোগিতা তো পাচ্ছি না। আমিই বা একা মানুষ কীভাবে দৌড়ঝাঁপ করবো। ঘরে ছোট একটা মেয়ে আছে, তাকেই সময় দেবো না আর্থিক সহযোগিতার জন্য দৌড়াবো? সব মিলিয়ে মানসিক অবস্থা ভালো না। কী করবো ভাবতে পারছি না। জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত পরিবারকে এক লাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের  ঘোষণা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন