মিঠা পানির বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে
মিঠা পানির বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। মিঠা পানির এসব মাছ রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সংসদে জানিয়েছেন বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, মিঠা পানির মাছকে রক্ষা করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছের একক ও মিশ্র চাষের সমপ্রসারণ। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন। প্রচলিত স্বল্প মেয়াদি রাজস্বভিত্তিক ইজারা প্রথার স্থলে জলাশয়ে পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞাসম্মত উৎপাদনভিত্তিক জৈব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী জানান, মুক্ত জলাশয়ে বিগত ৫ বছরে ৫৩৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৫০০ টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪। বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ১৮ প্রজাতির মাছ যথা- বাটা, সরপুঁটি, ভাঙ্গনা, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, গুলশা, শিং মাগুর, ভেদা, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া, ট্যাংরা ও গুতুম এর প্রজনন ও চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। তাছাড়া শৈল-বাইম, বৈরালী ও গজার মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা করা হচ্ছে। এসব গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের চাহিদা পূরণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহে যথা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে চিংড়ির পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাতকৃত মাছ রপ্তানি করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিলুপ্ত
- মাছ
- প্রজাতি
- 1. বাংলাদেশ