দাতব্য সংস্থাগুলোতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছেই

মানবজমিন প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দাতব্য সংস্থা বা এইড গ্রুপগুলোতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। নির্যাতিতরা অধিক সংখ্যায় মুখ খোলা শুরু করেছেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় সাহায্য বিষয়ক বা এইড এজেন্সিগুলো গত বছর কমপক্ষে ৫৩৯টি যৌন নির্যাতন ও হয়রানির রিপোর্ট পেয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক জরিপের ফলে এ কথা বলা হয়েছে। এমন যৌন নির্যাতন ২০১৭ সালে আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৩ ভাগ। দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, যারা এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা এখন কোনো লাজলজ্জার বালাই না রেখে সরাসরি মুখ খুলছেন। এমন রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৯১ জন স্টাফকে। আরো অনেক অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন। এ বিষয়ে জাতিসংঘ, অক্সফাম ও কেয়ার সহ শীর্ষ স্থানীয় ২২টি বৈশ্বিক দাতব্য সংস্থার ওপর দ্বিতীয় বর্ষের মতো জরিপ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউকে এইড গ্রুপসের নেটওয়ার্ক বন্ড-এর মাইক রাইট বলেছেন, আমরা যদি এমন বার্তা কার্যকর করতে পারি যে, নির্যাতনমুলক আচরণ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যদি আমাদের নিরাপদ জীবনচর্চার মান উন্নত করি তাহলে এমন নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে কমে আসবে। গত বছর একটি খবর প্রকাশ পায় যে, ২০১০ সালে যখন হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তখন সেখানে ত্রাণ তৎপরতায় যোড় দেয় অক্সফাম। এ সময় এ সংস্থার স্টাফরা পতিতাবৃত্তিকে ব্যবহার করেছে। এর ফলে এ খাতে ব্যাপকভাগে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতন, যৌনতায় প্রলুব্ধ করার সংখ্যা ২০১৮ সালে আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক ডাটার ওপর ভিত্তি করে এ কথা বলা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালে এ রিপেটার্ট ২২টি এজেন্সির মধ্যে ৯টিতে এমন কোনো সংখ্যা পাওয়া যায় নি। যেসব এজেন্সির ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে ২০১৭ সালে তার সংখ্যা ১৮টি। তাতে দেখা গেছে ৪৭৬টি যৌন অসদাচরণ করা হয়েছে। এ সময়ে চারটি এজেন্সি ডাটা সরবরাহ করে নি। যেসব এজেন্সিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা বলেছে, গত বছর তারা ১২০ জন স্টাফকে বরখাস্ত করেছে অথবা চাকরি ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে জাতিসংঘ অন্তর্ভুক্ত নয়। অক্সফাম বলেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে হাইতির কেলেঙ্কারি বেরিয়ে পড়ার পর এমন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দ্রুত বেরিয়ে আসছে। যারা এমন যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদেরকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর ফলে ১৯৯০ এর দশকের কিছু ঘটনা সহ প্রায় ৬ সপ্তাহে ৭৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। মাইক রাইট বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য এবং তার ১০০০০ স্টাফ ও ৫০০০০ স্বেচ্ছাসেবকের জন্য অক্সফাম বিনিয়োগ করেছে ৩০ লাখ পাউন্ড। ওদিকে ২০১৮ সালের ডাটা এ বছরের শেষের দিকে প্রকাশ করার কথা বলেছে মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন, মারসি করপোরেশনস, একশন এইড, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ইসলামিক রিলিফ এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস। তবে এ সংখ্যা জানতে চেয়ে অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া দেয় নি ক্যাথোলিক রিলিফ সার্ভিসেস। আইনজীবী মেগান নোবার্টকে ২০১৫ সালে দক্ষিণ সুদানে যৌন হয়রানি করেছিলেন তার এক সহকর্মী। তিনি আশা করেন, এই খাতে পরিবর্তন আসবে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন রিপোর্ট দ্য অ্যাবিউজ। তিনি বলেন, এখনও এ খাতে উন্নতির সুযোগ আছে। আমি আশা করি ২০১৯ সালে অবস্থার উন্নতি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও