কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চুলের ছাঁট ঠিক করতে সেলুনে নোটিশ স্কুল কর্তৃপক্ষের

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৯

কারও মাথা যেন ব্যাঙের ছাতা। কারও মাথায় পাখির বাসা। কোথাও বিলকুল ন্যাড়া মাথায় একফালি দ্বীপের মতো চুলের গোছা। কারও মস্তকে আবার দুনিয়া কাঁপানো খেলোয়াড় থেকে রুপালি পর্দার স্বপ্নের নায়ক – রোনাল্ডো, মেসি, বিরাট কোহলি কিংবা সলমন, শাহরুখ, বরুণ ধাওয়ানের ছাঁট। কেশবিন্যাসের এমন হরেক কারিকুরি কোনও পার্টি বা অভিনয়ের মঞ্চে নয়। কচিকাঁচারা যেখানে শিক্ষা ও শৃঙ্খলার পাঠ নিতে যায়, সেই স্কুলের ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের চুলে এইসব অভিনব কাটিং দেখে শিক্ষকরা আঁতকে উঠছেন। কুরুচিকর হেয়ার স্টইলের হাত ধরে শিক্ষাঙ্গনে অপসংস্কৃতির বেনোজল হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠছে। এনিয়ে যারপরনাই শঙ্কিত শিক্ষকমহল। বহু শাসনেও কাজ না হওয়ায় নিউটাউনের হাটগাছা হরিদাস বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ভিন্নতর উপায় ভেবেছেন। পড়ুয়াদের চুলের ফ্যাশনে  দাঁড় টানতে এবার ক্ষৌরকারদের দ্বারস্থ হয়েছে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের সই করা নোটিস ঝোলানো হয়েছে সেলুনে। তাতে বলা হয়েছে, দৃষ্টিকটু কোনও চুলের কাট যেন স্কুলের ছাত্রদের কেটে না দেয়া হয়। কেউ কাটতে চাইলে, তাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবক বা স্কুলের নজরে বিষয়টি আনতে হবে। আজকের প্রজন্মের পড়–য়াদের মধ্যে রুচিবোধ ফিরিয়ে আনতে স্কুলের এই অভিনব উদ্যোগ আলোড়ন ফেলেছে সর্বত্র। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ পার্থসারথি দাস বলেন, “নানা রকম চুলের কাটিং করে স্কুলে আসাটা খুবই দৃষ্টিকটু। এটা একজনকে দেখে পাঁচজন শেখে। তাই আমরা সেলুনের কর্মীদের কাছে আবেদন করেছি, দৃষ্টিকটু কোনও চুলের কাট স্কুলের ছাত্রদের কেটে দেবেন না। ছাত্রদের ‘মাথা’ ঠিক রাখতে এলাকার একাধিক সেলুনের দ্বারস্থ স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রায় সবকটি সেলুনেই পাঠানো হয়েছে নোটিস। প্রধান শিক্ষক সমস্যার কথা জানিয়ে সেলুনের কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেছেন, দৃষ্টিকটু চুলের কাটিং না করতে। এলাকার পাঁচটি সেলুনে তা পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের এই ভূমিকায় খুশি অভিভাবকরাও। এর ফলে ছোটদের চুলের কাটিং নিয়ে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নানা বিষয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিং করায়। চুলের কাটিং নিয়ে তাদের বোঝানো সত্বেও কাজ না হওয়ায় শিক্ষা দেয়ার উপায় হিসেবে এই পথ বেছে নিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও