নির্বাচিত হয়ে যা বললেন গুলজার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০১৯-২০২০) নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। শুক্রবার ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান গুলজার-বদিউল আলম খোকন প্যানেল ১৯টি পদের ১৪টিতেই বিজয়ী হয়। বিজয়ী হয়ে গতকাল শনিবার মুখোমুখি হন আমাদের সময় ডট কমের। পরিচালক সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সিনেমার উন্নয়নের জন্য সরকারের সঙ্গে পরিকল্পনার তৈরির বিষয়ে কর্যসমূহ বাস্তবায়ন করবেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। হলের আধুনিকায়ন সিনেমা হলে উন্নত প্রজেকশন মেশিনের ব্যবস্থা করা ও এফডিসিতে সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয় যতেষ্ট ভূমিকা পালন করার বিষয়ে তিনি বলেন। সিনেমা হলে ই-টিকিটিং চালু করা প্রযোজকরা লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাওয়া এবং শেয়ার মানি হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করার প্রতি জোর দিবেন বলে তিনি জানান। সরকারের সাথে সিনেমা উন্নয়নের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি কালচারাল এর মাধ্যমে সিনেপ্লেক্স চালুকরাসহ বেশকিছু উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছি। যেগুলো একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন দিয়েছে। সরকারকে এখন তাগিদ দিয়ে কাজটি তাড়াতাড়ি করার প্রচেষ্টা চালাব।এফডিসিতে কাজ করতে এসে চড়া মুল্য দিতে হয় প্রযোজকদের এখানে লাইট, ক্যামেরা ও ফ্লোর ভাড়া অনেক বেশি এটা চলচ্চিত্রের জন্য কমিয়ে আনার কোনও পদক্ষেপ আছে কী না জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়টি নিযে কাজ করতে অনেক আগ্রহী। কারণ এফডিসি থেকে শুটিংয়ের কাজের জন্য মালামাল নিলে তা শিফট অনুযায়ী হিসাব ধরে। আউটডোওে শুটিংয়ে গেলে ফিওে আসতে সকাল হলেই পরের দিনেরও ভাড়া দিতে হয়। তাই আমি এসব বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখব। এফডিসি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যাতে আরও সুযোগ-সুবিধা দেয়, সেটির দিকে গুরুত্ব দেব। আগে এফডিসি সিনেমা নির্মাণের জন্য অনেক কিছু বাকিতে দিত। চলচ্চিত্র নির্মাণের পর সেই টাকা পরিশোধের সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন তা বন্ধ রয়েছে। আমরা আবারও এটি চালু করার ব্যাপারে জোর দেব; যাতে প্রযোজকরা চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন।