ক্রিমিনালদের ধরার ব্যাপারে দল বিবেচনা না করলে ‘জিরো টলারেন্স’ বিশ্বাস করবো, বললেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন
মারুফুল আলম : স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন, যদি পুলিশকে বলা হয় যে, দলমত নির্বিশেষে ক্রিমিনালদের ধরো, তাহলেই বুঝবো এবার সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের বুকে জিরো টলারেন্স এর কাজ হচ্ছে। রোববার চ্যানেল আই তৃতীয় মাত্রায় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সফল হতে পারবেন, যদি জিরো টলারেন্স ডিকলারেশনের আগে দলমত নির্বিশেষে নজর দেয়া হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর উপর বাংলাদেশের জনগণের অধিকতর বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে।তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই যে কোনো দলের ক্রিমিনালকে ছাড় দেওয়া যাবে না। সমন্বয়হীনতার ব্যাপারে তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন একটি রাষ্ট্রও নেই, যেখানে একটি শহরেই ৪/৫টি মন্ত্রণালয় একসাথে ফ্লাইওভার বানানোর কাজ করছে, অথচ কারো সঙ্গে কারো যোগাযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী কাজগুলো চান, তিনি তো সমন্বয় করবেন না। সমন্বয়ের দরকার সেক্রেটারিদের এবং মন্ত্রীদের। তাদের মুখে ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন’ কথাটি প্রায়ই শুনি। প্রধানমন্ত্রী বলার পরই কাজ করবেন? তাহলে আপনি মন্ত্রী হয়েছেন কেনো? এরকম সমন্বয়হীনতা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।ইয়াং জেনারেশনকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ইয়াংরা জানে, কিভাবে কাজ করতে হয়। সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশের সন্তানরা এখন আন্তর্জাতিক মানের। আর আমাদের মত পুরনো মানুষগুলোকে আগে কী হয়েছে, সে জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।