ব্যয় বাড়ায় মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা মিলছে না : সিপিডি
গত তিন কাঠামোতেই পোশাক শ্রমিকদের মূল মজুরি বাড়ার হার কমেছে। নতুন কাঠামো শ্রমিকের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যও আনতে পারছে না, বলছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। এদিকে, শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে দোষারোপ না করে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি করায় জোর দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। শনিবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে। ডিবিসি টিভিনভেম্বরে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণার পরই শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। জানুয়ারিতে সংশোধন হয় মজুরি কাঠামো। তবে বাড়তি বেতন পকেটে আসার আগেই বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে। তাই বাড়তি আয়েও শ্রমিকের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়েনি। ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুরে জরিপ চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে সিপিডি।সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের পর্যালোচনায় দেখা যায় বেসিকের পরিমাণ যদি গ্রেড সেভেন ধরি অথবা গ্রেড থ্রি ধরি- এটি কিন্তু কমে যাচ্ছে। ৫০ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন বাড়িওয়ালা তাদের নোটিশ দিয়েছে যে বাড়ি ভাড়া আগামীতে বাড়বে। বাড়তি এই ব্যায়ের কারণে শ্রমিকের প্রাপ্তি কী থাকছে?মুক্ত আলোচনায় শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে কথার দ্বন্দ্বে জড়ান শ্রমিক আর মালিকেরা।গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন বলেন, চার মাসের বেতন বাকি, এক মাসের বেতন দিয়ে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করানো হয় পুলিশ এবং সন্ত্রাসী দিয়ে। অঙ্গিকারে লেখা থাকে-আমি আমার সমস্ত পাওনা বুঝিয়া পাইলাম, আমি আর কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো না।গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, ম্যাক্সিমাম কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন নেই। ট্রেড ইউনিয়নের নামে যদি আপনি কিছু জমা দেন আপনার চাকরি থাকবে না। এফবিসিসিআই এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, 'ইউ এন থেকে রিপ্রেজেন্টিটিভ নিয়ে আসেন। আমরা একটি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। একজন শ্রমিকের যেমন ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার আছে, তেমনি না করার অধিকারও রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যদি পাঁচ জনের একটি শ্রমিক প্রতিনিধিদল শ্রমিক পক্ষ থেকে হয় তাহলে সময়ে সময়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা গুলো বিবেচনা করবো, মালিক পক্ষকেও ডাকতে পারবো। কথা বলে আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। সিপিডির গবেষণা বলছে, নতুন মজুরি বাস্তবায়নে মালিকদের ব্যয় বাড়বে ২০ ভাগ। তবে বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে, এরইমধ্যে পোশাক খাতের কর্পোরেট ও উৎসে কর কমিয়েছে সরকার। প্রত্যাহার করা হয়েছে পরিবহনসহ বেশ কিছু খাতের ভ্যাট।