ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট রাজনৈতিক: মওদুদ আহমদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে সরকারই ভিকটিমের সঠিক ডাক্তারী রিপোর্ট দিচ্ছেনা। যা দেশের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট ডাক্তারী নয় এটি রাজনৈতিক রিপোর্ট। শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবিরহাটের ধর্ষিতাকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ বলেন, ওসি সাহেব ধর্ষিতার শাড়ি পাল্টিয়ে মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত বিনষ্ট করায় তিনি বিস্মিত। রাজতৈনিক কারণে ডাক্তারদের প্রভাবিত করে এ ধরনের মিথ্যা রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর বিচার অবশ্যই আদালতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের মধ্যেই সরকারের বিরোধীতা শুরু হয়েছে। দেশে যখন বিরোধীদল নেই তখন নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির মতো ঘটনা ঘটছে। সরকারের পতনের জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট।মওদুদ আরো বলেন, আওয়ামীলীগের দালাল বুদ্ধিজীবিরা বলছেন বিএনপি ভোট না করলে দেশে গণতন্ত্র কিভাবে আসবে। আমারাতো গণতন্ত্রের জন্যইতো ভোটে এসেছিলাম কিন্ত তারা কোনো ওয়ায়দাই রক্ষা করেননি। এসময় তিনি যুবদল নেতা আবুল হোসে কে জেলে পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে যুবলীগ নেতা জহির ও ছাত্রলীগ নেতা জাকের গণধর্ষন করে এর চাইতে হিংস্র পৈচাশিক ছাড়া কিছুই হতে পারে না। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর ও এ ধরণের ঘটনা কত হিনমন্নতার পরিচয় বহন করে। নির্যাতিত মহিলার নির্বাক ও বোবা কান্না তার তিন সন্তানের কি হবে? তার পবিত্র সম্ভ্রম নষ্ট করায় তাদেরকে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত দেখা হবে। এদেরকে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সূবর্নচর ও কবিরহাটের ঘটনায় সম্প্রতি গৃহবধুকে গণধর্ষনের ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাথা। এ সবের প্রতিটিই ঘটনার সাথেই সরকারীদলের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলো।এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাবেক চীফ হুইফ জয়নুল আবদীন ফারুক, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সেক্রেটারী আব্দুর রহমান ও ধর্ষিতা নারীকে আইনী সহায়াতাকারী এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ, ছাত্রদলের সভাপতি মো. আকবর দুঃখ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ভিপি জসিম, নোয়াখালী শহর বিএনপির সভাপতি রাশেল চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম চেয়ারম্যান ও সেক্্েরটারী কামরুল হুদা লিটন চৌধুরীসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।