হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টাইব্রেকারে টটেনহ্যামকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বৃহস্পতিবার রাতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে ২-১ গোলে জেতে চেলসি। কিন্তু গত সপ্তাহে টটেনহ্যাম হটস্পার তাদের মাঠে ১-০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। ফলে পেনাল্টি শুটআউট নামক ভাগ্য পরীক্ষায় ৪-২ ব্যবধানে জেতে চেলসি।ম্যাচের ২৭তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে টটেনহ্যাম। কর্নারে তারা ঠিকমতো বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ডি-বক্সের বাইরে ফাঁকায় পেয়ে যান এনগোলো কঁতে। ফরাসি মিডফিল্ডারের নেওয়া আচমকা জোরালো নিচু শটে বল মুসা সিসোকোর পা ছুঁয়ে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক পাওলো গাস্সানিরার দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়।৩৮তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এদেন আজার। ডান দিকের বাইলাইন থেকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সেসার আসপিলিকুয়েতার কাট ব্যাকে বল পেনাল্টি বক্সের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাক্সিক্ষত গোল পেয়ে যায় অতিথিরা। বাঁ দিক থেকে ড্যানি রোজের বাঁকানো ক্রসে নিচু হয়ে হেডে ব্যবধান কমান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফের্নান্দো লরেন্তে। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। ৬৪তম মিনিটে দারুণ পজিশনে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লরেন্তে। ১০ মিনিট পর ২০ গজ দূর থেকে আজারের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় টটেনহ্যাম। আর যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুদের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।টাইব্রেকারে চেলসির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন উইলিয়াম, সেসার আসপিলিকুয়েতা, জর্জিনিয়ো ও লুইস। টটেনহ্যামের প্রথম দুই শটে বল জালে পাঠান ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন ও এরিক লামেলা। তাদের তৃতীয় শটটি নিতে এসে উড়িয়ে মারেন এরিক ডায়ার। আর লুকাস মোউরার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক স্পেনের কেপা আরিসাবালাগা। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে চেলসি। অন্য সেমি-ফাইনালে বার্টন অ্যালবিওনকে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।