কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নির্বাচিত হলে জলজট ও যানজট নিরসন মূল টার্গেট

আগামী  ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও গতবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এবারও দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তিনি, মেয়র পদে নির্বাচিত হলে জলজট ও যানজট নিরসনই হবে মূল টার্গেট বলে এ প্রতিবেদককে একান্ত সাক্ষাতকারে জানান আতিকুল ইসলাম।মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গতবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার একটি মনোনয়ন বোর্ড বসেছিলো। সেখানে আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। কোর্টের রিটের মাধম্যে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিলো কিন্তু প্রার্থিতা স্থগিত করেনি। মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি আমি চিন্তাও করি না। এখন পর্যন্ত আমার কাছে যে খবর আছে তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে যে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো সেটি বহাল থাকবে। নির্বাচিত হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের প্রয়াত মেয়র আনিস ভাই রাজধানীর অনেক সমস্যা  চিহ্নিত করে গেছে। সমাধান কিন্তু করতেই হবে। এক বছর খুব কম সময় এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করবো, এরপর দল যদি থেকে আমাকে আবার মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে তখন আবার করবো। আমি যেদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব হাতে পাবো, সেদিন থেকেই কাজ শুরু করবো।নির্বাচনে বিজয়ী হলে কোন বিষয়ে বেশি প্রাধান্য দিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে চাই ঢাকার যানজট এবং জলজটকে। যেভাবেই হোক যানজট থেকে এই নগরকে উদ্ধার করতে হবে। যানজট দূর করার  যে ফর্মুলা তা কিন্তু আমরা জেনে গেছি। বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে যানজট দূর করা সম্ভব। তার প্রমাণও কিন্তু আমরা পেয়েছি, আগে গুলশানে ১০ থেকে ১২টি বাস চলতো এখন কিন্তু সেখানে ঢাকার চাকা নামে ১টি বাস চলে।  উপকারিতাও কিন্তু আমরা পেয়েছি। সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক পরীক্ষা কিন্তু হয়ে গেছে। গুলশানে পারলে অন্য যায়গায় কেন পারবো না।জলজট নিরসনের বিষয়ে আতিকুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী বর্ষার আগে জলযট নিরসনের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা যদি চিহ্নিত করতে পারি কোন যায়গাতে গিয়ে পানিটা আটকে যাচ্ছে তা হলে আলোচনার মাধ্যমে কিন্তু সেই সমস্যা সমাধান হতে পারে। কারণ দুই একজন  লোকের লাভের জন্য পুরো ঢাকা পানির নিচে ডুবে থাকুক এটা কিন্তু কেউ চায় না। এবার ভোটের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা উন্নয়ন চান, প্রধানমন্ত্রী সুশাসন, মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ চান। সুতারাং আমরা যদি সবাই প্রধানমন্ত্রীর সাথে  কাঁধে কাঁধ রেখে একসাথে কাজ করি তা হলে অসম্ভম বলে কিছু নেই, ঢাকা হবে একটি বাসযোগ্য নগরী। ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৮ ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পরে আমার প্রথম কাজ হবে নতুন ইউনিয়নগুলোর অলিগলির রাস্তার উন্নয়ন কাজ আগে করা। কারণ  আমরা দেখেছি সেখানের অবস্থা কতোটা খারাপ। সেখানে আমাদের মা বোনেরা খুব কষ্ট করে রিক্সায় চলাচল করে, বাচ্চারা শরীর ব্যথা করে স্কুলে যায়। যদিও এবিষয়ে ডিএনসিসির একটি মাস্টার প্লান করা আছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের একটি বড় অংশ বস্তিতে বসবাস করে এ বিষয়ে আতিকুল বলেন, বস্তিতে যারা বসবাস করে তাদের বাসা ভাড়া  অনেক। কুড়িল বস্তিতে ৯০ একর জমিতে ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করে, এটা একটা বড় সমস্যা। একটা পরিকল্পনার মাধ্যম যদি তাদের জন্য ঢাকার বাইরে অথবা ভেতরে তাদের সুবিধা মতো বাসযোগ্য আবাসনের বন্দবস্ত করা যায় সেটাই কিন্তু ভালো। তবে উচ্ছেদ নয়, কারণ উচ্ছেদ বলে কিছু নেই, তাদের সাথে অলোচনার মাধম্যে সমস্য সমাধান ও পুনর্বাসন করতে হবে।উল্লেখ্য ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়র আনিসুল হক মারা যান। এরপর ৪ ডিসেম্বর মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। এর ফলে ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছিল। আইন অনুযায়ী গত বছরের ৯ জানুয়ারি এ পদে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচনের কথা ছিলো একই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি। এর বিপক্ষে উচ্চ আদালতে রিট করা হলে ডিএনসিসি নির্বাচনের তফসিলের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে আরও ছয় মাসের জন্য নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত। এরপর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এই নির্বাচনের স্থগিতাদেশ ও রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন