সীমান্ত থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে ভারতের ভিন্ন সুর
বাংলাদেশের বাধার কারণে ভারত থেকে অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়ে তিন দিন সীমান্তের শূন্যরেখায় আটকে থাকা ৩১ সদস্যের রোহিঙ্গা দলকে ত্রিপুরায় ফিরিয়ে নেওয়ার পর এবার ভিন্ন সুরে কথা বলছে ভারত। ভারতের জম্মু থেকে আসা রোহিঙ্গাদে ওই দলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাজিয়াতল সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলো। দলটিতে ১৭ শিশু, ছয়জন নারী ও আটজন পুরুষ ছিলেন।ঘটনার শুরুর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করতে চাইলেও সাড়া দেয়নি ভারত। এর তিনদিন পর রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৫-৬টি গাড়িতে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার পর বুধবার এ নিয়ে ভারত ভিন্ন সুরে কথা বলে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলছে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে বিষয়টির সুরাহার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে ভারত। সীমান্তে থাকা রাখাইনের ৩১ জনের বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। তাদের কাগজপত্র এবং দাবি যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর তরফ থেকে প্রয়োজনীয় আশ্রয়, খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। কিছু লোকের মাধ্যমে বাংলাদেশের দিকে অনুপ্রবেশের এ ধরনের তৎপরতার বিষয়ে মিডিয়ার খবর নজরে এসেছে সরকারের। এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সেখান থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সেখানে ঘর করে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকেই কাজ করছে ভারত।