মেধাবী শিক্ষার্থীরা কতিপয় দুর্বৃত্ত শিক্ষকের হাত থেকে অনেক সময় নিস্তার পায় না
আমার স্কুল জীবনে একজন শিক্ষক, তার কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে আমার সাথে মারাত্মক বিমাতাসুলভ আচরণ করতেন। তিনি আমার নবম-দশম শ্রেণির জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছিলেন। তার দুই বিষয়ে আমাকে বার্ষিক পরীক্ষায় ৩৩/৩৪-এর বেশি নম্বর দিতেন না। গণিতের শিক্ষক হলেও তিনি গণিত বুঝতেন না বলেই তার কাছে পড়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। অথচ গণিতে আমি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো করেছি। সাবসিডিয়ারিতেও ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছি। প্রাইভেট না পড়ায় আমার কন্যাকেও কতিপয় শিক্ষক মানসিকভাবে নিপীড়ন করেছিলো। গাইড না নেয়ার জন্য আমাদের স্কুলে একসঙ্গে ৪০ জন মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দুর্বল মানের কিছু বই পাঠ্য করে এবং প্রকাশকরা উচ্চমূল্যে তা শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে। ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলো। কতিপয় শিক্ষক ওর জীবনও অতিষ্ঠ করে ফেলেছিলো। প্রাইভেট ও কোচিং নিয়ে শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার্থীর নিপীড়ন কম ঘটে না। কিছু অর্বাচিন শিক্ষকের পড়াতে না পারার বিষয়টা ধরে ফেললেও শিক্ষার্থীকে তিনি বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যা নিয়েও শিক্ষকদের নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতীকের আত্মহত্যার জন্য শাবির জিইবি বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করেছেন তার বড় বোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডার বিভাগের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা। অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া হওয়া সত্ত্বেও প্রতীককে মাস্টার্সে সুপারভাইজার না দেয়া এবং বিভিন্ন কোর্সে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ করেন শান্তা তাওহিদা। অনৈতিকতা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা কতিপয় দুর্বৃত্ত শিক্ষকের হাত থেকে অনেক সময়ই নিস্তার পায় না। আমার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন নিকটজন শিক্ষকতা করেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, কিছু খারাপ মনের শিক্ষকও রয়েছেন অসংখ্য ভালো শিক্ষকের সাথেই। ফেসবুক থেকে
- ট্যাগ:
- মতামত
- মেধাবী
- শিক্ষার্থী
- রেহাই
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়