লক্ষ্মীপুরে ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
আগামী ১৯ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। বুধবার বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ।এ সময় তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, সকল ধরনের মৃত্যু হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস করে, হাম জনিত মৃত্যু হার ৫০ ভাগ হ্রাস করে ও ডায়রিয়া জনিত মৃত্যু হার ৩৩ ভাগ হ্রাস করাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় রাউন্ডে জেলার ১ হাজার ৫১০টি কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মধ্যে স্থায়ী, অস্থায়ী, ভ্রাম্যমাণ ও অতিরিক্ত কেন্দ্র রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদরে ৫০৮টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯ হাজার, রায়পুরে ২৬৮টি কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৪১৮, রামগঞ্জে ২৬৮টি কেন্দ্রে ৫২ হাজার ৭৭৫, রামগতিতে ১৯৬টি কেন্দ্রে ৪০ হাজার, কমলনগরে ২২০টি কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৭২৩ এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৫০টি কেন্দ্রে ২০ হাজার ৪১৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৬৩৮ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ সহ প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।এছাড়াও প্রথম সারির ১৮৫ জন সুপার ভাইজারের তত্তা¡বধানে জেলাজুড়ে ৩ হাজার ২০ জন কর্মী কাজ করবেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী, এফডব্লিউএ, সিএইচসিপি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা রয়েছেন।ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, সিভিল কার্যালয়ের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মুহাম্মদ আরিফুর রহমানসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.