গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট দুতের্তে
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুর্তেতেকে নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেই। বিশেষ করে যুবতী বা নারী সম্পর্ক নিয়ে তিনি কোনো রাখঢাক না রেখেই কথা বলে ফেলেন। মুক্ত মঞ্চে কোনো এক যুবতীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন। এসব যেন তার কাছে মামুলি ব্যাপার। কিন্তু তিনি এবার বিতর্ক, ক্ষোভ উস্কে দিয়েছেন আরেক স্বীকারোক্তি দিয়ে। দুতের্তে স্বীকার করেছেন যখন তিনি টিনেজ বয়সে ছিলেন, তখন একজন গৃহপরিচারিকাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। এ নিয়েই সমালোচনার ঝড় বইছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এক বক্তব্যে তিনি এসব স্বীকার করেছেন। বলেছেন, একবার একজন যাজকের কাছে তিনি স্বীকার করেছিলেন একজন গৃহপরিচারিকা একবার ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় তিনি কিভাবে তার আন্ডারওয়্যারের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। দুর্তেতে ওই গৃহপরিচারিকার বিষয়ে বলেন, আমি তার কম্বল তুললাম। তাকে স্পর্শ করলাম। তার প্যান্টির ভিতরে আমার হাত। আমি তাকে স্পর্শ করছি। এমন সময় সে জেগে গেলো। ফলে আমি তার রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। এরপর আমি আবার তার ঘরে প্রবেশ করি এবং তাকে আবার যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করি। একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে এমন স্বীকারোক্তি দেয়ায় ক্ষেপেছে নারী অধিকার বিষয়ক গ্রুপ গাব্রিয়েলা। তারা বলেছেন, যে পদে আছেন দুতের্তে সেখানে তিনি অযোগ্য। তার পদত্যাগ করা উচিত। এ ছাড়া তার এমন মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছে ফিলিপাইনের অন্যান্য অধিকার বিষয়ক গ্রুপ। গাব্রিয়েলা বলেছে, শুধু ধর্ষণ করলেই ধর্ষণ হয় এমন না। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জোমস সালভাদোর বলেছেন, দুতের্তে যা করেছেন তাকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা যায়। ওদিকে কোয়ালিশন এগেইনস্ট ট্রাফিকিং ইন ওমেন এশিয়া প্যাসিফিক সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে দেশের গৃহকর্মে নিয়োজিতরা ঝুঁকিতে পড়বেন। এর নির্বাহী পরিচালক জ্যাঁ এনরিক বলেছেন, তার এ ধরণের মন্তব্যে ধর্ষণ সংস্কৃতি ও গৃহকর্মদৈর ওপর যৌন নির্যাতন বেড়ে যাবে। এখন বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ফিলিপাইনের ১০ লাখেরও বেশি গৃহকর্মী নিয়োজিত। দুতের্তে এমন সব বিস্ফোরক মন্তব্য ও স্বীকার করলেও এখনও তিনি ফিলিপাইনে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট।