কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তার পরেও পেনাল্টির আক্ষেপ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। ব্যবধানটা কম হলেও পুরো ম্যাচেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে আফগানরা। ব্যবধান আরো বড় হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। তবে ম্যাচ শেষে আক্ষেপও রয়েছে বাংলাদেশের। শেষ মুহূর্তে জীবন গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে, আর রেফারি পেনাল্টি এড়িয়ে না গেলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। ভাগ্য সহায় থাকলে ম্যাচটা ড্র করেও মাঠ ছাড়তে পারতো জামাল ভূঁইয়ারা।যদিও দুশানবের মাঠে আফগানদের কাছে ১-০ স্কোরলাইনটা ঠিক ম্যাচের পুরো চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। শারীরিক সক্ষমতা, ব্যক্তিগত স্কিল, বল নিয়ন্ত্রণ, পাসিং, প্রেসিং সবকিছুতেই আফগানদের কাছে পরাজিত বাংলাদেশ। যদিও ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে বাংলাদেশ একটি পেনাল্টি পেলেও পেতে পারতো। যোগ করা সময়ে স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নিজেদের গোলমুখে পেছন থেকে ট্যাকল করেন আফগানিস্তানের একজন ডিফেন্ডার। এ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশকে। অনেকে আবার বলছেন গোল করতে না পেরে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের এই স্ট্রাইকার। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে ইয়াসিন খানের কাছ থেকে বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগান ডিফেন্ডার জীবনের গোড়ালিতে পারা দেন। মাঠে সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু চীনের রেফারি জেং লেই পাত্তাই দেননি।ম্যাচের শেষ দিকের এই ঘটনা বাদ দিলে শারীরিক শক্তি আর গতিতে এগিয়ে থাকা আফগান ফুটবলাররা পুরো ম্যাচে বেশ চাপে রাখে বাংলাদেশকে। আক্রমণে পরিস্কার প্রাধান্য বিস্তার করলেও গোল পেতে ২৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় আফগানদের। এ সময় ডান দিক থেকে আসা বলে ফরশাদ নুরের জোরালো হেড। বাংলাদেশের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা হাতে লাগিয়েও বাইরে পাঠাতে পারেননি। ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। প্রথমার্ধে বল পজেশনে আফগানিস্তানের ছিল ৬০ ভাগ, বাংলাদেশের ৪০। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে ৬৮ : ৩২ করে ফেলে তাজিকিস্তানকে হোম ভেন্যু বানানো আফগানরা। বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার মতো পরিস্থিতি একবারও তৈরি করতে পারেনি। ৫৫ মিনিটে বিপলুর পরিবর্তে রবিউল হাসানকে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে; কিন্তু রবিউলও পারেননি। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে কাতারের কাছে। সেই ফল দেখে বাংলাদেশ কোচ বলেছিলেন, আফগানরা এশিয়ার সেরা দলটির কাছে ৬ গোল খেয়েছে। তাতে আমাদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। আফগানিস্তানকে হারাতে হলে আমাদের দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে হবে। সেটা পারেনি তার শিষ্যরা। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলা আফগানরা মাঠে প্রমাণ করেছেন কেন তারা বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ ধাপ ওপরে। বাংলাদেশের কোচ জেমি ডেও বলেন, আমরা আসলে ওদের গতির কাছেই মার খেয়েছি। তাছাড়া ম্যাচের পরিকল্পনা শতভাগ ছেলেরা মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারপরেও আশি হতাশ না। আমরা যাই খেলি শেষ দিকে জীবনের গোলটি হলে কিন্তু এক পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে পারতাম। তখন কিন্তু এতো সমালোচনাও হতো না। যাই হোক এখন অতীত ভুলে কাতার ম্যাচের দিকে ফোকাস দিতে চাই আমরা। আগামী ১০ই অক্টোবর কাতারের সঙ্গে হোম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। জীবনের মিস প্রসঙ্গে এই বৃটিশ কোচ বলেন, রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমার দৃষ্টিতে এটা পেনাল্টি ছিল। আমি বলবো আমরা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বাংলাদেশের সাবেক দুই ফিফা রেফারি আজাদ রহমান ও সুজিত ব্যানার্জির মতেও পেনাল্টি বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও