কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

থমকে গেছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রম

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থমকে গেছে চবির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫০ বছর পর ২০১৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সদ্য বিদায়ী উপাচার্য প্রফেসর ড. ইখতেখার উদ্দিন চৌধুরী। নির্মাণ কার্যক্রমের শুরুতে নানান ধরনের হুমকি আর বেশ কয়েকটি মামলার সম্মুখীন হয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন।কিন্তু উপাচার্যের পালা বদলে সেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ থমকে গেছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা ব্যক্তিবর্গ। তাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পত্র দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ১৬ই জুন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের অফিস কক্ষে তালা লাগানো ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের বাধা প্রদান। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৭ই জুলাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার প্রতিনিধিদের হুমকি প্রদান করে। ফলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। এরই মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলের সামনে থেকে খোলে নেয়া হয়েছে সীমানা প্রাচীরের অনেক লোহার গ্রীলও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষক অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছিলেন। সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের নেতৃত্বে এসব ভূমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব সীমানা হতে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে ভূমি দখলকারী এসকল ব্যক্তিবর্গ গ্রামবাসীর ছত্রছায়ায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত কমিটির অনেকে সদস্য প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। সর্বশেষ ৭ই জুলাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুমকি পেয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে একাধিকবার হুমকির শিকার হয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নিসীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে আর নির্মাণ কার্যক্রমে বাধার বিষয়টিও সমাধানের চেষ্টা চলছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব প্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীন আখতার মানবজমিনকে বলেন, যারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রমে বারবার বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি, আশা করছি অতি শীগ্রই বিষয়টি সমাধান করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে