কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রামে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ৮ মাসে ষোলো শ্রমিকের মৃত্যু

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রামে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ৮ মাসে ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় জাহাজ-ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম শ্রমিকদের প্রাণহানি মোকাবিলা করে কারখানাগুলোতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে ১০ দফা দাবি দিয়েছে। সাতদিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শফর আলী বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বঙ্গোপসাগর উপকূলে ১৫০টির বেশি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের নিবন্ধন আছে। কিন্তু কাজ চলছে ৫০-৬০টি ইয়ার্ডে। এসব কারখানায় সরাসরি কাজ করে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।কারখানাগুলোতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ না থাকায় শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গত সাড়ে তিন বছরে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৬৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন। আর ২০১৯ সালের গত ৮ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন ও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন। এরমধ্যে জাহাজ কাটার সময় আগুনে দগ্ধ ও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বেশি। শফর আলী বলেন, ২০১৯ সালে শ্রমিকের মৃত্যু অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। একজন শ্রমিকের মৃত্যুর দায়ও শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকরা এড়াতে পারেন না। অথচ মালিকদের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বছরের পর বছর ধরে শ্রমিকরা মৃত্যুর শিকার হলেও এবং ক্রমাগতভাবে তা বাড়তে থাকলেও দায়ী মালিকের বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো হুলিয়া জারি হয়নি। দুর্বল, নিপীড়িত, অসহায় জনগোষ্ঠীর প্রতি কি রাষ্ট্রের কোনো দায় নেই? সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনেক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্সও নেয়নি। ঝুঁকি নিরসনে তাদের কোনো পদক্ষেপই নেই। এছাড়া অধিকাংশ শ্রমিকের জাহাজ কাটা ছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো প্রশিক্ষণ নেই। শ্রমিকদের আত্মরক্ষার জন্য কোনো সরঞ্জাম দেয়া হয় না। ফলে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা বছরের পর বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মস্থলে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং জেলা প্রশাসকের গঠিত ক্রাইসিস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও ৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সংগঠনটির নেতাদের।সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও আহতদের ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া, ইয়ার্ড মালিকদের উদ্যোগে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেয়া, শ্রমিকদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ, কাটার আগে জাহাজকে সমপূর্ণভাবে বর্জ্যমুক্ত করা, শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১৬ হাজার টাকা ও দৈনিক ৬১৫ টাকা নিশ্চিত করা এবং এযাবৎ সংঘটিত সকল দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে উদঘাটন ও দায়ী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে এসব দাবি মেনে নেয়া না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে