কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাখাইনে গ্রামের পর গ্রামের অস্তিত্ব নেই

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামের পর গ্রামের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেঙেচুরে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে মাটির সঙ্গে। সেখানে গড়ে উঠেছে একের পর এক পুলিশ ব্যারাক, সরকারি বিভিন্ন বিশাল বিশাল ভবন এবং রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন শিবির। এক অনুসন্ধানে এমন চিত্র দেখতে পেয়েছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি জোনাথন হেড। এ নিয়ে তিনি প্রমাণ হিসেবে সচিত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, মিয়ানমার সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার ইচ্ছাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ, বর্তমান গৃহীত ব্যবস্থায় তাদেরকে আটকে রাখা হবে ট্রানজিট ক্যাম্পে। হাতেগোনা অল্প কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের মূল বসতি বা সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হতে পারেন। জোনাথন হেড লিখেছেন, সরকারি সফরে বিবিসি চারটি এলাকা দেখতে পেয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা বিষয়ক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্থান এক সময় স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গিয়েছিল রোহিঙ্গাদের বসতি। সরকারি কর্মকর্তারা এসব গ্রামে ভবন নির্মাণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সামরিক নৃশংস অভিযানে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ ঘটনাকে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। তবে সেনাদের ব্যাপকহারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ বার বারই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। এখন তারা বলছে, কিছু সংখ্যক শরণার্থীকে (রোহিঙ্গা) তারা ফেরত নিতে প্রস্তুত। কিন্তু গত মাসে দ্বিতীয় দফায়ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মিয়ানমার অনুমোদন দেয়া রোহিঙ্গাদের ৩৪৫০ জনের একজনও দেশে ফেরত যেতে রাজি হননি। এর কারণ হিসেবে তারা তুলে ধরছে ২০১৭ সালে সংঘটিত নৃশংসতায় জবাবদিহিতার অভাব, তারা ফিরে গেলে স্বাধীনভাবে চলাচলের অনুমতি পাবে কিনা সে বিষয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা, নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশকে দায়ী করছে মিয়ানমার। তারা বলছে, বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত। তাদের এই প্রস্তুতি দেখানোর জন্য বিবিসিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিককে ওইসব ‘ফ্যাসিলিটিজ’ দেখাতে নিয়ে যায় মিয়ানমার। জোনাথন হেড আরো লিখেছেন, রাখাইনে প্রবেশাধিকার স্বাভাবিকভাবেই কঠোর বিধিনিষেধে আটকানো। আমরা সরকারি একটি গাড়িবহরে করে সেখানে সফরে গেলাম। পুলিশের তদারকি ছাড়া কোনো মানুষের ছবি তোলা ও সাক্ষাৎকার নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়নি আমাদের। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্মূল করে দেয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ দেখতে সক্ষম হয়েছি। স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবির বিশ্লেষণ করেছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের নৃশংসতায় রোহিঙ্গাদের যেসব গ্রাম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৪০ ভাগ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারে বিবিসি কী দেখেছে?সরকারি ব্যবস্থাপনায় আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হলো হ্লা পেয়ে কাউং ট্রানজিট ক্যাম্পে। এখানে ২৫,০০০ শরণার্থীকে রাখা যাবে বলে তারা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, স্থায়ী আবাসনে পাঠানোর আগে রোহিঙ্গাদেরকে এই ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করতে হবে দু’মাস। প্রায় এক বছর আগে এই ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে এর অবস্থা খুবই নাজুক। নির্মিত টয়লেটগুলো ভেঙে পড়েছে।  রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রাম হাও রি তু লার এবং থার জাই কোনে’র পাশে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্যাম্প। ওই গ্রাম দুটি ২০১৭ সালের নৃশংসতার পরে ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। জোনাথন হেড আরো লিখেছেন, যখন আমি ক্যাম্প প্রশাসক সোয়ে শয়ে অংয়ের কাছে জানতে চাইলাম, কেন এসব গ্রাম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে? জবাবে তখন তিনি গ্রাম নিশ্চিহ্ন করার কথা প্রত্যাখ্যান করলেন। কিন্তু তাকে আমি স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলাম। তিনি তখন আমাকে বললেন, অতি সম্প্রতি তিনি এখানে কাজে যোগ দিয়েছেন। এসব প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারবেন না। আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হলো পুনর্বাসন বিষয়ক ক্যাম্প কিয়িন চাউংয়ে। জাপান ও ভারত সরকারের অর্থায়নে এই ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। শরণার্থীরা ফিরে গেলে তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী আবাসন হবে এটি। কিন্তু এই ক্যাম্পটি নির্মাণের জন্য জমি পরিষ্কার করতে বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হয়েছে মিয়ার জিন গ্রাম। এই ক্যাম্পটি বর্ডার গার্ড পুলিশের জন্য নির্মিত একটি নতুন বিশাল আকারের ব্যারাকের খুব কাছেই। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের একটি ইউনিট এই বর্ডার গার্ড পুলিশ। ক্যামেরার আড়ালে কর্মকতারা ওই মিয়ার জিন গ্রামটি ধ্বংস করে দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। মূল শহর মংডুর ঠিক বাইরে মিও থু গাইই। এক সময় এখানে বসবাস করতেন কমপক্ষে ৮,০০০ রোহিঙ্গা। সরকারি একটি গাড়িবহরে করে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আমি এই গ্রাম চিত্রায়ণ করেছিলাম। এই গ্রামের বহু বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বড় বড় দালানগুলো তখনও অক্ষত দাঁড়িয়ে। রাখাইন গ্রামকে ঘিরে রাখা গাছগুলোও ছিল। কিন্তু এখন সেই এলাকা অতিক্রম করার সময় দেখা গেল সরকারি বিশাল বিশাল সব ভবন, পুলিশ কমপ্লেক্স। সেই গাছগুলো আর নেই। জোনাথন হেড লিখেছেন, আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হলো ইন ডিন গ্রামে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এই গ্রামের ১০ জন মুসলিমকে আটক করে তাদেরকে গণহত্যা করা হয়। এ ঘটনা সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মিয়ানমারে নৃশংসতার বিষয়ে সেনাবাহিনী যা দু’একটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ইন ডিন গ্রামের চারভাগের তিনভাগই মুসলিম। বাকিরা রাখাইন বৌদ্ধ। কিন্তু এখন ওই গ্রামে একজন মুসলিম বা তার বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেখানে রাখাইনদের বসতিগুলো এখন শান্ত ও শান্তিপূর্ণ। কিন্তু যেখানে রোহিঙ্গাদের বাড়িগুলো ছিল, যখন আপনি সেখানে পেঁৗঁছাবেন, দেখবেন গাছগুলো উধাও হয়ে গেছে। তার পরিবর্তে গড়ে উঠেছে কাঁটাতারের বেড়া। এই বেড়া নতুন করে গড়ে উঠা বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যারাককে বেষ্টন করে আছে। সেখানে রাখাইন বৌদ্ধ অধিবাসীরা আমাদেরকে বলেছেন, তাদের পাশাপাশি তারা আর কখনো মুসলিম বসতি মেনে নেবেন না।  শরণার্থীদের কাছে এর গুরুত্ব কী?জোনাথন হেড লিখেছেন, ২০১৭ সালের সামরিক নৃশংসতার পরে রোহিঙ্গাদের বসতি ধ্বংস করে দেয়ার এই ব্যাপকতা ও অব্যাহত থাকা প্রচেষ্টা বন্ধ হওয়ার অর্থ এই যে, হাতেগোনা কিছু সংখ্যক শরণার্থী তাদের পুরনো বসতি ও সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হতে পারেন। ব্যাপক সংখ্যায় শরণার্থী ফেরত যাওয়ার দৃশ্যমান একটিই প্রস্তুতি হলো হ্লা পেয়ে কাউং, পুনর্বাসন ক্যাম্প কিয়িন চাউংয়ের মতো জরাজীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্প। ফলে দু’বছর আগে শরণার্থীরা যে মানসিক ক্ষতের মুখে পড়েছিলেন সেই ক্ষত হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারেন সামান্য কিছু সংখ্যক শরণার্থী। ফলে তাদেরকে ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে তার আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।  জোনাথন হেড লিখেছেন, ইয়াঙ্গুনে ফেরত আসার পথে আমি বাস্তুচ্যুত একজন তরুণ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ পেতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমাদেরকে আলাদা হতে হবে। কারণ, অনুমতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা নিষিদ্ধ বিদেশিদের জন্য। ওই তরুণ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাত বছর ধরে একটি আইডিপি ক্যাম্পে আটকা পড়ে আছেন। ২০১২ সালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর বাস্তুচ্যুত হন কমপক্ষে ১ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের মতোই ওই তরুণকে সিতওয়েতে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার সক্ষমতা রাখেন না। অনুমতি ছাড়া তাকে ক্যাম্পের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে অবস্থানরত শরণার্থীদের প্রতি তার পরামর্শ, ফিরে আসার মতো ঝুঁকি নিও না। ফিরলে আমাদের মতো একইরকমভাবে কড়া প্রহরার বন্দিশিবিরে থাকতে হবে। সরকার কী বলছে?জোনাথন হেড লিখেছেন, রাখাইনে যা দেখতে পেয়েছি সে বিষয়ে বক্তব্য জানতে আমরা মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের দ্বারস্থ হলাম। কিন্তু কোনো উত্তর দেয়া হলো না সেখান থেকে। সরকারিভাবে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে শরণার্থীদের ফেরত নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মিয়ানমার। কিন্তু মন্ত্রীরা এখনও রোহিঙ্গাদেরকে ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করে। তারা বলেন, গত ৭০ বছর ধরে এসব মানুষ অবৈধ উপায়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে। এমনভাবে অভিবাসনের পক্ষে সামান্যই প্রমাণ আছে। রোহিঙ্গাদেরকে যে নিজ দেশের অধিবাসী হিসেবে মিয়ানমার বিশ্বাস করে না তার বড় রকমের প্রতিফলন ঘটে এর মধ্য দিয়ে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও চলাচলে স্বাধীনতা দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার। তারা শুধু ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দিতে চেয়েছে রোহিঙ্গাদের। মিয়ানমারের দাবি, এটা হলো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ওই কার্ড প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ, এই কার্ড দেয়া হলেও তাদেরকে বাঙালি হিসেবে অভিহিত করা হবে। জোনাথন হেড আরো লিখেছেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে যখন সেনাবাহিনীর নৃশংসতা চরমে তখন মিয়ানমারের সেনা কমান্ডার, সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ১৯৪২ সাল থেকে যে অসম্পন্ন কাজ রয়ে গেছে তারা সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। তিনি রাখাইনে জাপান ও বৃটিশ বাহিনীর মধ্যকার লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সময় রোহিঙ্গা ও রাখাইন বৌদ্ধরা সমর্থন করছিলেন বিরোধী পক্ষগুলোকে। এতে একজন অন্যজনকে হত্যা করছিলেন। এর ফলে সেখানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। সেনাপ্রধান বলেছেন, উত্তর রাখাইনে মুসলিমদের বন্যা নেমেছিল। এই রাখাইন হলো বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া।   সীমান্তের কাছে মংডু ও বুথিডাং হলো দুটি জেলা। ২০১৭ সাল থেকে এখানে সবচেয়ে বেশি গ্রাম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আর এ দুটি জেলাই ছিল মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একমাত্র অঞ্চল। সেখান থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পালিয়ে আসার ফলে বাকি যারা রয়ে গেছেন তারা এখন সেখানকার মোট জনসংখ্যার সম্ভবত শতকরা মাত্র ১০ ভাগ। তারা এখন হয়তো সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন। বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সরকার, চলাচলের স্বাধীনতা নেই অথবা নাগরিকত্বের পরিষ্কার কোনো পন্থা নেই। এর ফলে বেশির ভাগ শরণার্থীর ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর ফলে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে, এর মধ্য দিয়ে সম্ভবত সেই ‘অসম্পূর্ণ কাজ’ এখন সম্পূর্ণ করা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে