কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রংপুরে নির্বাচনী আইন মানছে না কেউ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রংপুরে উপনির্বাচনে নির্বাচনী আইন মানছে না কেউ। প্রশাসনের উদ্যোগে নগরজুড়ে প্রার্থীদের পোস্টার ও বিলবোর্ড সরানোর জন্য মাইকিং করে ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও কারো কর্ণপাত নেই। রংপুর-৩ সদর আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৯ দিন পার হলেও এখনো সরানো হয়নি সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার বিলবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন। এসব সরিয়ে নিতে জেলা নির্বাচন অফিস মাইকিং করলেও তা কাজে আসছে না। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের জন্য গত ১লা সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা ৯ই সেপ্টেম্বর, বাছাই ১১ই সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ই সেপ্টেম্বর। ৫ই অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ। সরজমিনে দেখা গেছে, নগরীর সিওবাজার চেক পোস্ট থেকে মেডিকেল মোড় হয়ে কাচারী বাজার ও মডার্ন মোড় সড়কে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বড় বড় বিলবোর্ড এখনো ঝুলছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাসহ বিদ্যুতের খুঁটিতে সাঁটানো আছে ছোট ছোট রকমারি ফেস্টুন। দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছে রঙিন পোস্টার। এসবের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের। তফসিলের পরও এসব সরিয়ে না ফেলে নিয়ম ভঙ্গ থেকে বাদ পড়েনি জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। অথচ তফসিল ঘোষণার পরই জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সব ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং কিছু কিছু পাড়া-মহল্লাতে নতুন করে ফেস্টুন লাগাতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করেছে। নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর এবং প্রতীক বরাদ্দের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে ঝুলছে প্রচার প্রচারণার নজরকাড়া বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। এদিকে, শিগগিরই এসব পোস্টার ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলানো হবে বলে জানিয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অন্যদিকে, বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে ঢাকা রয়েছি। আমি দলের কর্মী-সমর্থকরাদের দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলব।’ রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার কোনো বিলবোর্ড নেই। তবে কিছু জায়গাতে কর্মী সমর্থকরা ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছিল। আমি এগুলো ঢাকা থেকে ফিরে, সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’ এদিকে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগ নেতাই এখন ঢাকাতে অবস্থান করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। অন্যদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা তফসিলের পর মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাঁটানো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড নামিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। কিন্তু এখনো অনেকেই সরিয়ে নেয়নি। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে এসব সরিয়ে ফেলতে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত