You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিয়ের আমেজ পরিণত হলো শোকে

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ডাকাতের গুলিতে পিএইচডি গবেষণারত শিক্ষার্থী গাজীপুরের ফিরোজ-উল আমিন রিয়েল (২৯) নিহত হওয়ার খবর শুনে মা-বোনসহ পরিবারের লোকজন শোকে পাথর হয়ে গেছে। এলাকায়ও বইছে শোকের ছায়া। এখন সবাই শুধু লাশের অপেক্ষায়। তবে প্রশাসনের কেউ এখন পর্যন্ত কোনোভাবেই এগিয়ে যায়নি ওই শোকাহত পরিবারটির পাশে। যে মেধাবী শিক্ষার্থী বিয়ের আনন্দের আমেজে দেশে ফিরে আসার কথা ছিল, সে ফিরছে লাশ হয়ে শোকের বন্যা নিয়ে।নগরের বাসন থানার ইটাহাট এলাকার বাসায় গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী কেউ কোনোভাবেই সান্ত্বনা দিয়ে স্বাভাবিক করতে পারছেন না রিয়েলের মা ফেরদৌসী আমিনকে। একমাত্র ছেলে রিয়েলকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। দুদিন ধরে ছেলে হারানোর শোকে তিনি প্রায় পাগল হয়ে গেছেন। শুকিয়ে গেছে তার চোখের পানি। স্কলারশিপ নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার সিকিউরিটির ওপর পিএইচডি করতে যান রিয়েল। সেখানে যাওয়ার তিন মাসের মাথায় তার বাবা রুহুল আমিন মারা যান। বহু দূরে থাকলেও মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হতো তার। সবশেষ গত শুক্রবার বিকালে মায়ের সঙ্গে কথা হয়। মা রিয়েলের জন্য বিয়ের পাত্রী ঠিক করেছেন। কমিউনিটি সেন্টারও বুকিং দিয়েছেন। বিয়ের দাওয়াতের জন্য আত্মীয়-স্বজনের তালিকাও করা হয়েছে। পরিবারে বইছিল আনন্দের বন্যা, বিয়ের আমেজ। ডিসেম্বরে দেশে এসে বিয়ে করবেন। এরপর স্ত্রী আর মাকে নিয়ে রিয়েল যাবেন হজ করতে। নিজের আয়-উপার্জনের পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল তার। রিয়েলের বেঁচে থাকা একমাত্র বড়বোন রোকশানার মুখে ভাইয়ের নানা স্মৃতি ভেসে উঠছে। রোকশানা জানান, অভিমানিও ছিল তার ভাই। ছোটবেলায় সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছে তারা দু’ভাইবোন। হাসি-ঠাট্টা খেলার ছলে মাঝে-মাঝে বড়বোনকে মারলেও ছোটভাইয়ের শরীরে হাত উঠায়নি কোনোদিন। ভাইয়ের অনুরোধেই বিয়ের পরও স্বামীকে নিয়ে মায়ের বাসায় থাকছেন রোকশানা পারভিন। সেই বোনের এখন একটাই চাওয়া- খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক ভাইয়ের লাশ। দ্রুত দাফন করতে চান। আর কষ্ট দিতে চান না ভাইকে। এখন আদরের ভাইয়ের শুধু চিরশান্তিই চান।পরিবারের সদস্যদের মতো প্রতিবেশী-মহল্লাবাসীও তাকে হারিয়ে শোকহত। তারা মনে করছেন, উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে হয়তো সবার উপকারে আসতো এই রিয়েল। শুধু তাই নয়, তাদের জন্য গর্বেরও ছিল রিয়েল। সবাই বলছেন, সবার সঙ্গে মিশতে পারতো রিয়েল। ছিল নিয়মিত নামাজি। প্রতিবেশীদের সুখে-দুঃখে ছুটে যেত।লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পিএইচডি করছিলেন। একইসঙ্গে একটি গ্যাস স্টেশনে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেন। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় এয়ারলাইন হাইওয়ের ওপর লাকি’স ভ্যালেরো গ্যাস স্টেশনে ডাকাতদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করার পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে স্কলারশিপ নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান রিয়েল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে অনার্স, ঢাকার সেন্ট যোশেফ কলেজ থেকে এইচএসসি ও গাজীপুরের সরকারি রানী বিলাসমণি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বন্ধুবৎসল রিয়েল সদা হাসিখুশি ও ভ্রমণপ্রিয় ছিলেন। সুযোগ পেলেই পাহাড়-ঝর্ণা, জঙ্গল নদ-নদী-হাওর দেখতে বেড়িয়ে পড়তেন। আনন্দে মেতে উঠতেন। এখন সবই হয়তো দেখবেন দূর থেকে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন