শাহরাস্তিতে ভূমি দখলের পাঁয়তারা প্রভাবশালীর
শাহরাস্তিতে এক নিরীহ পরিবারের ক্রয়কৃত ভূমিতে প্রভাব খাটিয়ে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারটি ওই জুলুম অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি ফৌজদারি মামলাও দায়ের করেন। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি বিশেষ আইন-আদালত তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণে চেষ্টা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির দিন কাটছে আতঙ্কে ও উৎকণ্ঠায়। এমন অবস্থা বিরাজ করছে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির কাদরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানায়, ওই বাড়ির গৃহকর্তা সিরাজুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বর্তমানে তার পৈত্রিক ও কিছু ক্রয়কৃত দখলীয় ভূমি ৫৮৫, ৫৮৭, ৫৮৮ ও ৫৮৯ দাগের ভূমি ভোগ-দখল পূর্বক বসবাস করে আসছেন। গৃহকর্তার মেজো ছেলে দীন ইসলাম জানান, একই গ্রামের নতুন বাড়ির আবদুর রবের পুত্র আবদুল কাদের তাদের ওই ভূমির উপর দিয়ে দীর্ঘদিন হাঁটা-চলা করে আসছিল। ২০১৮ সালের ১৫ই এপ্রিল কাদের গংরা সকালে তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জোরপূর্বক জবরদখল করে একটি রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিতে টিকতে না পেরে আমার পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ মঙ্গলবার চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা দায়েরের পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পরে কাদের গংরা আমার পিতাকে ও আমার পরিবারকে মুসল্লিদের সামনে নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও গালমন্দ করে। পরে আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা আবেদনের বিষয়টি শাহরাস্তি উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন ভূঁইয়াকে অবহিত করি। তিনি ২০১৮ সালের ৩০শে জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি দু’পক্ষকে ডেকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর প্রতিপক্ষরা ২০১৯ সালের ২৭শে জুন তর্কিত ভূমি নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করে। তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ পাটোয়ারীকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে মাঠে-ঘাটে মসজিদে আমার পিতা সিরাজুল ইসলাম, ভাই হাবিবুর রহমান, কামাল হোসেন ও আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মৌলবাদ, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলা-মোকদ্দমায় জড়াবার পাঁয়তারাসহ হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আমি শাহরাস্তি উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মামলা করি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ভূমি দস্যু
- চাঁদপুর