এবার আরিফের প্রশংসায় মিসবাহ
সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে আরিফের গুণগান নতুন নয়। একাধিক নেতা মেয়র আরিফের প্রশংসা করেছেন। যোগ হয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও। তিনিও মেয়র আরিফের প্রশংসায় ‘পঞ্চমুখ’। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনে এক অনুষ্ঠানে তিনি মেয়র আরিফকে ‘মেধাসম্পন্ন ও চৌকস’ জনপ্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন এনআরবি ব্যাংক এবং আল হারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমানকে শনিবার সিটি করপোরেশনে সংবর্ধনা দেয়া হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘আমাদের মেয়র তিনি অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি, চৌকস ব্যক্তি। তিনি সবদিকে খেয়াল রাখেন। পার্কের জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যারা আছেন, তাদের সবাই মিলে যেন এই জায়গায় একটি পার্ক হয়, সে পদক্ষেপ নেন। আপনারা সবাই মিলে চাপ সৃষ্টি করেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে চেষ্টা করবো।’ মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘সিলেটের সঙ্গে সারা দুনিয়ার সম্পর্ক। আমাদের এই সিলেটে বহু জ্ঞানী-গুণীর জন্ম হয়েছে। সারা বাংলাদেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই সিলেট। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী প্রধান সেনাপতি ছিলেন, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ডও সিলেটের ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘অথচ এই সিলেট শহরে আমাদের সন্তানদের জন্য, বয়স্কদের জন্য, প্রবাসীদের জন্য, পর্যটকদের জন্য একটা পার্ক নির্মাণ করতে পারিনি। মধ্যখানে আমাদের সরকার পার্কের উদ্যোগ নিয়েছিল। সিলেটের পুরনো কারাগারকে পার্কে পরিণত করার উদ্যোগ ছিল। তখন সারা বাংলাদেশে সর্বজনীন নয়, ব্যক্তিস্বার্থে এসব জায়গায় প্রজেক্ট সাবমিট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেখলেন এসব জায়গা অত্যন্ত ভালো জায়গা, এই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে। আমাদের সিলেট কারাগারের ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে উপস্থাপন হলো, তিনি দেখলেন এখানেও একটি প্রজেক্ট আছে। সঙ্গে সঙ্গে ফাইলের কোণে তিনি লিখেন, বাংলাদেশে যত পুরনো কারাগার আছে, সেগুলো দ্বিতীয় কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। মূলত জায়গাগুলো আটকানোর জন্যই এটি করেছেন তিনি।’ তিনি বলেন, ‘সিলেট পুরনো কারাগারে বঙ্গবন্ধু একটি সেলে থেকেছেন। ওই সেলটি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’ সিলেটের বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এ নিয়ে পরপর দু’বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম বার তিনি বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ২০১৮ সালে সরাসরি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন। দুই বারই তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিলেটের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। এরপর থেকে কামরান নীরব হয়ে পড়েন। তিনি কেবল দলীয় কর্মকাণ্ডে সরব থাকেন। তবে আরিফুল হক চৌধুরী বিপরীত ধারার রাজনীতিবিদ হলেও নগর ভবনের কর্মকাণ্ডে সবাইকে সম্পৃক্ত রাখছেন। এবার তার দাওয়াতে নগর ভবনে গেলেন মিসবাহ সিরাজও। সিলেট-১ আসনের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গেও মেয়র আরিফের সিলেট উন্নয়নে সম্পর্ক ছিল। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও আরিফের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। নিজেও প্রশংসা করেছেন আরিফের। কয়েকদিন আগে সিলেট সফরকালে রাতে মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর উন্নয়ন কাজ ঘুরে দেখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।