আত্মহত্যার আগে প্রেমিক রোকনকে অনুনয় করে কলেজ পড়ুয়া সোনালী লিখেছিলো, ‘আমাকে খারাপ মেয়ে বলো না। আমি খারাপ না। আমাকে গালি দিওনা, আমি মরে যাব।’ তারপরও থামেনি প্রেমিক রোকন। অন্য ছেলেদের জড়িয়ে মন্তব্য করে যাচ্ছিলো। একপর্যায়ে ফেসবুক-মেসেঞ্জারে ব্লক করে দেয় সোনালীকে। তারপরই গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোনালী। খবর পেয়ে আজ দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়ানতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মালিগাছা সাজিপাড়া গ্রামে। নিহত জাকিয়া সুলতানা সোনালী লোকমানপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে তার প্রেমিক একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রোকন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনালীকে সন্দেহ করতো রোকন। এই নিয়ে মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হতো। গতরাতে এসব বিষয়ে রোকনের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বাকবিতন্ডা হয় সোনালীর। একপর্যায়ে সোনালীকে চরিত্রহীন বলে অপবাদ দেয় রোকন। জবাবে আত্মহত্যার হুমকি দেয় সোনালী। এ নিয়ে চ্যাট চলাকালীন মেজেঞ্জার ও ফেসবুক আইডিতে সোনালীকে ব্লক করে দেয় রোকন। সকালের সোনালীর লাশ উদ্ধারকালে মোবাইলফোন জব্দ করে পুলিশ। সেখানেই দু’জনের চ্যাট দেখতে পাওয়া গেছে।ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুক-মেসেঞ্জারে ব্লক করার ক্ষোভেই গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে সোনালী। লাশ উদ্ধারের পর একই উপজেলার মারিয়া গ্রামে প্রেমিক রোকনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু রোকনকে সেখানে পাওয়া যায়নি। রোকন ওই গ্রামের মোহাম্মদ শিমুলের ছেলে। নিহত সোনালী বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মালিগাছা সাজিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সুমনের মেয়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিক প্রেমিকার মনোমালিন্যের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে মোবাইলে ফোনের কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.