হাকালুকি হাওরের অভয়াশ্রম বিলগুলোতে মাছ লুটের মহোৎসব চলছে। বিলগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। এতে সরকার যে উদ্দেশে মৎস্যবিলের ইজারা বাতিল করে অভয়াশ্রম করেছিল তা ভেস্তে যাচ্ছে।জানা গেছে, হাকালুকি হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১৭টি বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে ইজারা বন্ধ রাখা হয়। ২০১১ সালে অভয়াশ্রম ঘোষিত ২টি জলমহাল পুনরায় ইজারা দেয়া হলে বিগত ৭-৮ বছর থেকে ১৫টি জলমহাল অভয়াশ্রম হিসেবে বহাল রয়েছে। এ জলমহালগুলো রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য হাওরপারের বিভিন্ন ভিলেজ কনজারভেটিভ দলকে (ভিসিজি) দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু রক্ষকের দায়িত্বে থাকা এসব ভিসিজি ভক্ষকের ভূমিকায় নেমে পড়ে। তারা অবৈধ বেড়জাল ও কাপড়ি জাল গ্রুপকে রাতপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিলে মাছ ধরতে দিচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে। সরজমিন গেলে হাওরে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, হাকালুকির বড়লেখা উপজেলা অংশের তেতোনা অভয়াশ্রম বিল, টলার বিল, লঞ্চি বিল ও কানলিয়া বিলের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জের বাদে দেউলি পূর্ব যুদিষ্টিপুর বহুমুখী সমবায় সমিতি ও আশিঘর (ঘিলাছড়া) বহুমুখী সমবায় সমিতি। সমিতির নেতৃবৃন্দ জুড়ী উপজেলার বেলাগাঁওয়ের অবৈধ বেড়জাল ও কাপড়ি জালের মালিকদের কাছ থেকে রাতপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় মাছ ধরতে দিচ্ছে। এসব জেলেরা একেকটি অভয়াশ্রম বিল থেকে প্রতি রাতে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মাছ লুট করছে। শুষ্ক মৌসুমে অভয়াশ্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসিজি গোপন চুক্তিতে বিল বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যার ফলে সরকার ব্যাপক রাজস্ব হারিয়ে যে উদ্দেশ্যে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছিল তা ভেস্তে যাচ্ছে। জেলা মৎস্য অফিসার মো. এমদাদুল হক জানান, হাকালুকি হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যই সরকার কয়েকটি বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি মাছ লুটে জড়িয়ে পড়ে তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.