শেরপুর বিএনপির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা
সম্মেলনের প্রায় আড়াই বছর পরে গঠিত হওয়া শেরপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে একাধিক মামলায় কারাগারে থাকায় সেই সভায় উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, শিল্পপতি হযরত আলীর। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের রঘুনাথবাজার এলাকায় বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল চত্বরে আয়োজিত ওই পরিচিতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রধান অতিথি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। মিথ্যা মামলায় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার-হয়রানি, জেল-জুলুম-নির্যাতন করছে। দেশের মানুষ এ সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এজন্য তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভার শুরুতে ১৫২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দকে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ ও আবু রায়হান রুপন প্রমুখ। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির এক সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী কারাগারে থাকায় আব্দুল আওয়াল চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সেইসঙ্গে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি গ্রহণসহ তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে করণীয় বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৬শে ডিসেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নাম ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি। প্রায় আড়াই বছর পর গত ৬ই আগস্ট ১৫২ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান কমিটিতে তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা প্রমোশন পেয়ে সরাসরি জেলা বিএনপির মূল দলে সুযোগ পেয়েছেন।