আতিয়া মহলে গ্রেনেড হামলাকারী মোশারফ ও নাজিম মারা গেছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

সিলেটের আতিয়া মহলে গ্রেনেড হামলাকারী ছিল জঙ্গি মোশারফ ও নাজিম। তারা দু’জনই মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানার অভিযানে মারা গেছে। তাদের সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিল। তবে তারা অজ্ঞাত। তাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। সম্প্রতি সিলেটের আদালতে আলোচিত এ মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা  সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি মানবজমিনকে জানান, আতিয়া মহলের বাইরে গ্রেনেড হামলার মূল হোতা ছিল জঙ্গি মোশারফ ও নাজিম। এই দু’জন মৌলভীবাজার থেকে এসে ওখানে গ্রেনেড হামলা চালায়। আতিয়া মহলে অভিযানের পরপরই  মৌলভীবাজারের বড়হাটা সহ দুটো এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান হয়। সেখানেই তারা মারা যায়। এ কারণে আলোচিত এ মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মর্জিনার বোন, ভাইসহ কয়েকজনকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করে এনে এ মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কিছুই পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালের ২৩শে মার্চ থেকে সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু হয়। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে অভিযানের তীব্রতা। ২৫শে মার্চ রাত থেকে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যার একটু আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করা হয়। ব্রিফিং শেষে যখন সাংবাদিকরা ফিরছিলেন তখন আতিয়া মহলের কাছাকাছি একটি মাদ্রাসার সড়কে পরপর দুটি শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে। দুটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। আহত হওয়া মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে বাতাস। গ্রেনেড হামলায় নিহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, সিলেট মহানগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম ও চৌধুরী মোহাম্মদ আবুল কয়সরসহ ৭ জন। মারা যাওয়া অন্যরা ছিল প্রত্যক্ষদর্শী। আহত হন অর্ধশতাধিকের বেশি। এ ঘটনার পর আতিয়া মহলের চতুর্দিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় রেড এলার্ট জারি করে চালানো হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। এদিকে আলোচিত এ ঘটনায় সিলেটের মোগলাবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করে। প্রথমে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করলেও পরবর্তীতে ওই বছরের জুলাই মাসে পিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। এদিকে আতিয়া মহলের অভিযানের পর মৌলভীবাজারের বড়হাটা সহ অন্য আরেকটি এলাকায় দুটি জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায়। ওই অভিযানের সময় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয় সিলেটের গ্রেনেড হামলাকারীরা মৌলভীবাজার থেকে এসে হামলা করেছে। ওই অভিযানে হামলাকারীরা মারা যায় বলে জানানো হয়। এদিকে তদন্তকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন আতিয়া মহলে জঙ্গি হামলায় নিহত মর্জিনার বোন গ্রেপ্তারকৃত আর্জিনা, তার স্বামী জসিম উদ্দিন ও প্রতিবেশী হাসানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে তাদের কাছ থেকে আলোচিত এ ঘটনা সম্পর্কে নতুন করে তথ্য পাননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, যেহেতু চিহ্নিত দুই জঙ্গি মারা গেছে এ কারণে কোনো আসামির নাম না থাকায় মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। প্রায় দুই বছর তিনি ঘটনা সম্পর্কে বিশ্লেষণ ও তদন্ত করেছেন বলে জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে